খালিদ জিহাদ খান,শিবচর
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে বাংলাবাজার -শিমুলিয়া নৌরুটে সীমিত আকারে কয়েকটি ফেরী চাল থাকায় বাংলাবাজার ঘাটের সব কিছু ভেদ করে ঘরমুখো মানুষেরা ভির জমাচ্ছেন।একদিকে রাজধানী মুখো যাত্রী অন্যদিকে রাজধানী থেকে ঘরমুখো যাত্রীদের ভিরে ঘাট এলাকা কানায় কানায় পূর্ন।আর এভাবেই কষ্ট করে প্রিয়জনদের সাথে ঈদ করতে যাচ্ছেন স্বজনরা।
রোববার( ৯ মে) সরেজমিনে বাংলাবাজার ঘাটে দেখা যায়, প্রায় সকল ফেরী গুলো ঘাটে নোঙর করে রাখা। তবে সকাল সাড়ে ৯ টা থেকে সাড়ে ১১ টা পর্যন্ত ফরিদপুর ও শাহ পরাণ নামে দুইটি ফেরি ঘাটে আসলে ফেরিতে কয়েকটি গাড়ি ব্যতিত পূরো ফেরী দুইটি যাত্রীদের উপচে পড়া ভির লক্ষ করা যায় ।ফেরী দুটোটে প্রায় ৫ হাজার যাত্রী ছিলো বলে ধারনা করা হয়।যেখানে সামাজিক দুরত্ব ও পুরো স্বাস্থ্য বিধি পুরোই উপেক্ষিত ছিলো।
অন্যদিকে সকাল সাড়ে সাড়ে সাতটা থেকে টা থেকে ৯ পর্যন্ত বাংলাবাজার ঘাট এলাকা থেকে ফেরী কুমিল্লা ও কুঞ্জুলতা নামে দুইটি ফেরী কয়েকটি এম্বুলেন্স ও প্রায় ৫ শত যাত্রী নিয়ে ঘাট থেকে ছেড়ে যেতে দেখা যায়।তবে এ রিপোর্ট ( দুপুর ১ টা পর্যন্ত) লেখা পর্যন্ত ঘাট এলাকায় প্রায় ১০ হাজার লোক ও প্রায় পাঁচ শতাধিক যানবাহন পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে।
বিআইডব্লিউটিসির বাংলা বাজার ঘাট সুত্র জানায়,জরুরি প্রয়োজন ছাড়া অন্য কোন যানবাহন ফেরীতে ওঠানো হয়না।তবে এদিক সেদিক দিয়ে মানুষ ফেরীতে উঠে পড়ে।তাদের কোনভাবেই কন্ট্রোল করা যাচ্ছে না।
এদিকে বাংলাবাজার ঘাট সূত্রে জানা গেছে, গনপরিবহন বন্ধ থাকায় পদ্মা পার হয়ে আসা দক্ষিণাঞ্চলের যাত্রীরা সবচেয়ে বেশি দূর্ভোগে পড়ছে শিবচরের বাংলাবাজার ঘাটে এসে। বাস বন্ধ, কয়েকটি মাইক্রোবাস রয়েছে। এছাড়া থ্রি-হুইলার (মাহিন্দ্রা ও ইজিবাইক ও মোটরসাইকেল রয়েছে ঘাটে। পরিবার-পরিজন নিয়ে আসা যাত্রীরা ঘাট এলাকায় এসে গাড়ি না পেয়ে বিপাকে পরেছে।ঘাট এলাকায় ব্যাটারী চালিত অটোতে বরিশালে ৮ জন করে যাত্রী নিচ্ছে আর যাত্রী প্রতি ৮০০ টাকা করে ভাড়া নিচ্ছে। অন্য দিকে মোটরসাইকেলে জোড়া প্রতি ফরিদপুর যাচ্ছে ১৫ শত টাকা খুলনা যাচ্ছে ২৫ শত টাকা আর গোপালগঞ্জ যাচ্ছে ১৫ শত টাকা দিয়ে।তবে কোন কোন মোটরসাইকেল ৪ জন করে চড়তেও দেখা যাচ্ছে। তবে মাহিন্দ্র গাড়িতেও বরিশাল যাচ্ছে জন ৬ শত টাকা আর গোপালগঞ্জ যাচ্ছে ৮ শত টাকা করে।
এছাড়াও দূর পাল্লায় থ্রিহুইলার সাধারণত যাচ্ছে না। সব মিলিয়ে ঘাটে গাড়ির তীব্র সংকট তৈরি হয়েছে।
ঢাকার যাত্রাবাড়ি থেকে আসা বরিশালগামী যাত্রী ফরিদ আহম্মেদ ((৪৫)বলেন,ঢাকায় কাজ নেই,তাই বাড়ি যাচ্ছি,ঘাটে ৩ ঘন্টা অপেক্ষায় থেকে ফেরীতে উঠি।বাপরে বাপ এতো মানুষের চাপে শরীর এতবারেই চেপ্টা হয়ে গেছে। খুব কষ্ট হয়েছে এই পর্যন্ত আসতে।ফেরীতে মানুষের গাদাগাদি ও করোনা ভাইরাস সংক্রমন মাথায় নিয়েই বাড়ি যেতে হবে।
খুলনাগামী যাত্রী মনির হোসেন (৩৩) বলেন,সামনে ঈদ তাই বাড়ি যাচ্ছি। তবে এতো টাকা ভাড়া জীবনেও দেখিনি।
নারায়নগঞ্চ থেকে আসা খুলনাগামী যাত্রী হেনা বেগম পঞ্চাশ বছর বয়সী একজন বলেন, প্রায় দুই ঘন্টা ফেরি ঘাটে পারের অপেক্ষায় ছিলাম।পরে ফেরীতে ওঠার সময় পা ফসকে ফেরির মধ্য পড়ে যাই।এতে মানুষের চাপে শরীরের আঘাত পাই।তার পরেও ঘাটে এসেছি।বাড়িতে তো যেতেই হবে।
বিআইডব্লিউটিসির সহকারী ব্যবস্থাপক জামিল আহমেদ জানান, জরুরী প্রয়োজনে এখান থেকে দুইটি ফেরি ছেড়ে যায়।তবে প্রয়োজন ছাড়া আমরা আর কোন ফেরী ছাড়বো না।
Leave a Reply