মাদারীপুর প্রতিনিধি
মাদারীপুরে বনভোজনের বাসের আসনে বসা নিয়ে দুই জনের দ্বন্ধের জেরে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে কমপক্ষে ২৫ জন আহত হয়েছে।আহতদের উদ্ধার করে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।এদের মধ্যে দুই জনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদেরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ঘটনাটি বৃহস্পতিবার (১৪মার্চ) সকালে মাদারীপুর সদর উপজেলার কেন্দুয়া ইউনিয়নের কলাগাছিয়া গ্রামে ঘটেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সদর উপজেলার কলাগাছিয়া গ্রামের নিত্যগোপাল গোস্বামী স্মৃতি সংঘের উদ্যোগে বুধবার নড়াইলের লোহাগড়ায় বনভোজনে যায় কলাগাছিয়া গ্রামের লোকজন। বনভোজন থেকে ফেরার পথে বাসের মধ্যে মিল্টন হালদার (২৫) ও প্রকাশ বৈরাগীর (২৭) মধ্যে বাসের সিটে (আসনে) বসা নিয়ে তর্কাতর্কি হয়। পরবর্তীতে বাসের মধ্যেই নিত্যগোপাল গোস্বামী স্মৃতি সংঘের সভাপতি অংশুপতি ভক্ত উভয়কে তর্কাতর্কি বন্ধ করে মীমাংসা করে মিলিয়ে দেন। কিন্তু বুধবার রাতে (১৩ মার্চ) বাস থেকে বনভোজনের সকল সদস্যরা নেমে বাড়ি আসার পথে মিল্টন হালদারের লোকজন প্রকাশ বৈরাগীর উপরে হামলা চালায়। বুধবার রাতের হামলার ঘটনার জেরে বৃহস্পতিবার সকালে মিল্টন হালদারের বংশের লোক অমল হালদারকে (২৫) একা পেয়ে প্রকাশ বৈরাগীর লোকজন হামলা করে উভয় পক্ষের মধ্যে বংশগত সংঘর্ষ হয়। পরে খবর পেয়ে মাদারীপুর সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এতে উভয় পক্ষের কমপক্ষে ২৫ জন আহত হয়। আহতদের উদ্ধার করে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।এদের মধ্যে দুই জনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদেরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। নিত্যগোপাল গোস্বামী স্মৃতি সংঘের সভাপতি অংশুপতি ভক্ত বলেন,‘পিকনিকের বাসে মিল্টন ও প্রকাশের মধ্যে ঝগড়া হলে আমিসহ কয়েকজন মিলে ওদের দুজনকে মিলিয়ে দেই তারপরও তারা বাস থেকে নেমে বাড়ি আসার পথে মারামারিতে জড়িয়ে পড়ে। বিষয়টি অনেক দুঃখজনক।এই ঘটনার খবর পেয়ে হাসপাতালে রোগীদের দেখতে আসেন স্থানীয় কেন্দুয়া ইউপি চেয়ারম্যান শাহ মো. রায়হান কবীর, তিনি বলেন, মর নিত্যগোপাল গোস্বামী স্মৃতি সংঘের উদ্যোগে আয়োজিত বনভোজনের বাসে বসা নিয়ে দুইটি ছেলে সাথে দ্বন্ধ হয়। সেই দ্বন্ধের জেরে সংঘর্ষ হয়েছে। বিষয়টি থানা পুলিশকে অবহিত করা হয়েছে। তারা প্রয়োজনীয় পদেক্ষপ গ্রহণ করবেন।’
এই বিষয়ে মাদারীপুর সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক রাশেদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘কলাগাছিয়া গ্রামের দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় আমরা ২৫ জন রোগীকে চিকিৎসা দিয়ে ভর্তি করেছি। এবং দুই জনকে ঢাকায় উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠিয়েছি। যারা সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে তারা সবাই আশঙ্কা মুক্ত।
মাদারীপু সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এএইচএম সালাউদ্দিন বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।আহতদের উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছ এই বিষয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Leave a Reply