শিবচরনিউজ২৪ডেস্কঃ
মাদারীপুরের কালকিনি ও রাজৈর উপজেলায় করোনা রোগী সনাক্ত হওয়ায় কালকিনি ও রাজৈর উপজেলা লকডাউন ঘোষণা করেছেন জেলা প্রশাসন। এছাড়াও গত ২০ মার্চ থেকে জেলার শিবচর উপজেলাটি করোনা ভাইরাসের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা হিসেবে ঘোষনা করেন জেলা প্রশাসন।
বর্তমানে মাদারীপুর জেলায় মোট করোনা রোগী সনাক্তের সংখ্যা ১৮ জন।
মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক মো. ওয়াহিদুল ইসলাম জানান, গতকাল মাদারীপুর জেলার কালকিনি ও রাজৈর উপজেলায় করোনা রোগী সনাক্ত হয়েছে।এ নিয়ে রবিবার (১২ এপ্রিল) দুপুরে করোনা প্রতিরোধ কমিটির জরুরী সভায়র সিদ্ধান্ত মোতাবেক আমরা কালকিনি ও রাজৈর উপজেলাকে লকডাউন ঘোষণা করেছি। এছাড়াও সভায় আরও কিছু সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে সেগুলোর মধ্যে বেলা ১১টা পর্যন্ত কাঁচাবাজার খোলা থাকবে এবং নির্দেশনা মোতাবেক দূরত্ব বজায় রেখে বাজারে অবস্থান করতে হবে। এছাড়া প্রয়োজন ছাড়া কোন ব্যক্তি ঘরের বাহিরে বের হতে পারবে না।
এ বিষয়ে মাদারীপুরের সিভিল সার্জন ডা. শফিকুল ইসলাম জানান, মাদারীপুরে এ পর্যন্ত ১৮ জন করোনা রোগী সনাক্ত হয়েছেন। এর মধ্যে শিবচর উপজেলায় ১৫ জন, সদর, রাজৈর ও কালকিনি উপজেলায় একজন করে। সর্বশেষ মাদারীপুর জেলায় আক্রান্ত পাঁচজনের মধ্যে নারায়নগঞ্জ থেকে আসা তিনজন।
এদিকে আজ দুপুরে মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার পাইকপাড়ায় করোনা উপসর্গে মো মহর অালী শেখ (৬০) রাজৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কম্পেলেক্সে মারা গেছে বলে জানিয়েছেন রাজৈর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোহানা নাসরীন।এছাড়া প্রশাসনের নির্দেশে মৃত্যু ব্যক্তির বাড়িটি লকডাউন করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
অন্যদিকে স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের ঘোষনা অনুযায়ী গত ২৩ দিন ধরে শিবচরের ৪টি এলাকায় প্রায় ৭৮ হাজার মানুষ প্রশাসনের বিষেশ নজরদারিতে রয়েছে এছাড়াও শিবচর পৌর বাজারসহ ঝুঁকিপূর্ণ ২টি ওয়ার্ড ও ২টি ইউনিয়নের ২ গ্রামে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এসব এলাকায় পুলিশ পাহাড়ায় রেখে মানুষের প্রবেশাধিকার ও যানবাহন চলাচল সীমিত করা হয়েছে।
এদিকে এসব এলাকাসহ শিবচর উপজেলার পুরো এলাকায় নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দোকান ব্যতীত সব দোকান টানা ২৩ দিন ধরে বন্ধ রয়েছে। দুপুর ২ টার পর থেকে শুধু মাত্র ঔষদের দোকান ব্যতিত সকল দোকানপাট বন্ধ রাখা হয়। এতে শিবচরের সকল এলাকায় কমছে লোকজনের সমাগম।
এদিকে শিবচরে করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবেলায় ব্যাপক প্রস্তুতি হাতে নিয়েছে শিবচর উপজেলা প্রশাসন। জনসাধারণের সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে উপজেলার সর্বত্র মাইকিং করা হচ্ছে। গণ জমায়েত পরিহার ও সরকারি নির্দেশনা প্রতিপালনসহ সার্বিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার জন্য আইনশৃংঙ্খলা বাহিনীর সহযোগীতায় টহল প্রদান করা হচ্ছে।
অন্যদিকে লকডাউন ঘোষনা করার পর থেকেই জেলার কালকিনি ও রাজৈর উপজেলা সহ জেলাজুড়ে অতিরিক্ত পুলিশ মেতায়েন করে জনসমাগম ও যানবাহন চলাচল শীমিত করা হয়েছে।এলাকায় আইনসৃঙ্খালা বাহিনির তৎপরতা লক্ষনীয়।
Leave a Reply