শিবচরনিউজ২৪.কম ডেস্কঃ
আগামী ১৪ অক্টোবর ২০২০ থেকে মা ইলিশ সংরক্ষন অভিযান শুরুর লক্ষে শিবচর উপজেলায় প্রচার প্রচারনার অংশ হিসেবে সচেতনতামূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়।
মঙ্গলবার (৬ অক্টোবর) বিকেলে কাঠালবাড়ি ঘাট এলাকায় সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।
শিবচর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ সামসুজ্জামানের সার্বিক পরিচালনায় ও কাঠালবাড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোহসেন উদ্দিন সোহেল বেপারীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাদারীপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা রিপন কান্তি ঘোষ।
শিবচর উপজেলা মৎস্য অফিস সুত্রে জানাযায়, চলতি বছর ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে আগামী ১৪ অক্টোবর থেকে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত ২২ দিন প্রধান ইলিশ প্রজনন মৌসুম ঘোষণা করেছে সরকার। অভয়াশ্রম চলাকালে ইলিশ ধরা, আহরণ, বিক্রি ও বিপণন বন্ধ থাকবে।
এদিকে ইলিশের প্রজনন সময়ে সরকারের খাদ্য সহায়তা কর্মসূচির আওতায় শিবচর উপজেলায় চলতি অর্থবছরে (২২ দিনের জন্য) জেলেদের জন্য ৬১.৭৮ মেট্রিক টন ভিজিএফ চাল বরাদ্দ করা হয়েছে। এই সহায়তার আওতায় ৩৮০ জন জেলে পরিবারকে ইলিশের প্রজনন মৌসুম শুরুর আগেই পরিবার প্রতি ২০ কেজি চাল বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে।
জানা যায়,মা ইলিশ রক্ষা ও স্বাচ্ছন্দ্যে ডিম ছাড়ার সুযোগ করে দিতেই মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ১৯৫০ সালের মাছ রক্ষা ও সংরক্ষণ আইন (প্রটেকশন এন্ড কনজারভেশন ফিস অ্যাক্ট-১৯৫০) অনুযায়ী এ বছর ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুম ১৪ অক্টোবর থেকে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত মোট ২২ দিন (২৯ আশ্বিন থেকে ১৯ কার্তিক) সারা দেশে ইলিশ আহরণ, পরিবহন, মজুদ, বাজারজাতকরণ বা বিক্রি নিষিদ্ধ করা হলো। এ সময় চাঁদপুর, লক্ষীপুর, নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, বরগুনা, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, শরীয়তপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ঢাকা, মাদারীপুর, ফরিদপুর, রাজবাড়ী, জামালপুর, নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী, মানিকগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, খুলনা, কুষ্টিয়া ও রাজশাহী- এই ২৭ জেলার সব নদ-নদীতে ইলিশ ধরা বন্ধ থাকবে। মৎস্য মন্ত্রণালয় দেশের নদ-নদীগুলোর ৭ হাজার বর্গকিলোমিটার এলাকাকে ইলিশের প্রজনন ক্ষেত্র হিসেবে ঘোষণা করেছে।
উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা এটিএম সামসুজ্জামান জানান,এ বছর মা ইলিশ রক্ষায় জেলা প্রশাসন কর্তৃক ৫ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটসহ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) নেতৃত্বে সার্বক্ষণিক নদীতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে।এছাড়াও স্পিডবোট নিয়ে বিশেষ অভিযানের পাশাপাশি এবার স্থল পুলিশ ও নৌপুলিশ একসঙ্গে নদীতে নামবে।তাছাড়াও উপজেলা নির্বাহী অফিসার কর্তৃক উপজেলায় তিনটি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্পের মাধ্যমে মা ইলিশ রক্ষার কার্যক্রম জোরদার করা হবে।এছাড়াও নদীতে মাছ শিকারে ব্যবহৃত স্পীডবোটসহ সকল নৌযানসমূহ জব্দ করারও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন এলাকার জনপ্রতিনিধি ছাড়াও উপজেলা ও জেলা মৎস্য কার্যালয়ের বিভিন্ন কর্মকর্তা, কর্মচারী, মৎস্যজীবী,গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
Leave a Reply