মাদারীপুর প্রতিনিধি
মাদারীপুরের শিবচরের ঐতিহ্যবাহী মাদবরেরচর রহিমুদ্দিন মাদবর (আর. এম.) উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি ২০০৯ সালের ব্যাচের শিক্ষার্থীদের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার (২৩ এপ্রিল )ঈদের ২য় দিন দিনব্যাপী এ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত হয়।
রঙিন বেলুন উড়িয়ে জাঁকজমকপূর্ণ এ আয়োজনে উদ্বোধন করেন বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী, সাবেক শিক্ষকমন্ডলী, বিদ্যালয়ের বর্তমান সহকারী শিক্ষক মন্ডলী ও প্রধান শিক্ষক।
এদিকে সকাল থেকেই সাবেক শিক্ষার্থীদের পদচারণে মুখর হয়ে ওঠে বিদ্যালয়ের মাঠ। ঐতিহ্যবাহী বিদ্যালয়ের ওই ব্যাচের পুনর্মিলনী উৎসবে সাবেক শিক্ষার্থীরা মেতে উঠেছিলেন আনন্দে, যেন খুঁজে পেয়েছিলেন নিজেদের শৈশব।পুরোনো বন্ধুদের কাছে পেয়ে কেউ কুশল বিনিময়ে ব্যস্ত। একে অন্যকে বুকে জড়িয়ে ধরছেন কেউ। কেউ খুলেছেন গল্পের ঝাঁপি। যেন ফিরে গেছেন পুরোনো দিনে। বন্ধুদের এমন আবেগ, উচ্ছ্বাস বুঝিয়ে দিল বাঁধন আলগা হয়নি মোটেও, আছে প্রাণে প্রাণে।
সবাইকে আবার একসঙ্গে পেয়ে যেন কর্মজীবনের সব ক্লান্তি দূর হয়ে গিয়েছিল সাবেক শিক্ষার্থীদের। পুরোনো ক্যাম্পাসকে নতুন করে ক্যামেরাবন্দী করে রাখতে ছিল অনেক কসরত। প্রাণের বিদ্যালয়ে মধুর মিলনে সতীর্থরা একে অপরের সঙ্গে কুশল বিনিময় ও কোলাকুলির মাধ্যমে বন্ধুত্বের নতুন বন্ধন তৈরি করেন। সব ভেদাভেদ ভুলে সবাই একই মিশেলে মিলিত হন।
বিদ্যালয়ের ২০০৯ ব্যাচের পুনর্মিলনী উদয্যাপন পরিষদের আহ্বায়ক মাজহারুল ইসলাম (রুবেল) বলেন, ১৪ বছর পর মাদবরেরচর আর এম উচ্চ বিদ্যালয়ের ২০০৯ ব্যাচের বন্ধুত্বের টানে শৈশবের মধুর স্মৃতিচারণায় ঈদের দ্বিতীয় দিন ব্যতিক্রমধর্মী মিলনমেলার আয়োজন করেছে। ব্যাচের সদস্যদের অনেকেই দেশ ও দেশের বাইরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পেশায় নিয়োজিত।
সাবেক শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা শৈশব-কৈশোরের খোঁজে এখানে ছুটে এসেছি, স্বপ্নের দরবারে, স্মৃতির আঙিনায়।
পরে বিদ্যালয় অডিটোরিয়ামে এক আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়।বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোঃ রফিকুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুল মোতালেব শিকদার, সাবেক সিনিয়র সহকারী শিক্ষক আনোয়ার হোসেন,বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী বর্তমান বাংলাদেশ স্কাউটের পরিচালক ( সমাজ উন্নয়ন ও স্বাস্থ্য) গোলাম মোস্তফা,বিদ্যালয়ের সাবেক সহকারী প্রধান শিক্ষক ও বর্তমান নুরুদ্দীন মাদবরের কান্দি এসইডিপি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আফজাল হোসেন, সহকারী শিক্ষক জুল হোসেন, সাবেক সহকারী শিক্ষক হাফিজুর রহমানসহ শিক্ষার্থীরা।
বিদ্যালয়ের বর্তমান প্রধান শিক্ষক বলেন, পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের মধ্যে মেলবন্ধন রচিত হয়। সুখ-দুঃখের স্মৃতি রোমন্থন করার সুযোগ ঘটে। এর মাধ্যমে পরস্পরের মধ্যে ভ্রাতৃত্ব ও সৌহার্দ্যের বন্ধন আরও সুদৃঢ় হয়।
উদ্বোধনের আগে ২০০৯ ব্যাচের শিক্ষার্থী সবচেয়ে কম বয়সে মৃত্যু বরণ করা মো: ইউছুফসহ প্রয়াত সহপাঠীদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
মিলনমেলায় ছিল, ফুল ও টি-শার্ট দিয়ে বরণ, উপহার মগ প্রদান, শিক্ষকদের সম্মাননা উপহার, শিক্ষকদের নির্দেশনা মূলক বক্তব্য, স্কুলের জন্য বিশেষ উপহার, দুপুরের খাবার, শ্রেণিকক্ষে পাঠদান, টিফিন, খেলাধুলা প্রভৃতি নিয়েও আলোচনা করা হয়।
Leave a Reply