মাদারীপুর প্রতিনিধি:
মাদারীপুর জেলার শিবচরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় প্রান্তিক মূল্যায়নের প্রশ্ন ফাঁস করার অভিযোগে মো: নুরুল আমীন নামে এক শিক্ষককে সমায়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
বরখাস্তকৃত ওই শিক্ষক শিবচর উপজেলার শিরুয়াইল ইউনিয়নের ১৬২ নম্বর উতরাইল মুন্সী কান্দি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক।
সোমবার দুপুরে মাদারীপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা তাপস কুমার পাল স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। সোমবার সন্ধ্যায় শিবচর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মুন্সি রুহুল আসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
স্থানীয় ও শিবচর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সুত্রে জানা যায়, গতকাল (রবিবার) সন্ধ্যায় শিবচর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক ঐক্য পরিষদ নামে একটি মেসেঞ্জার গ্রুপে শিক্ষক মো: নুরুল আমীন আজ সোমবার (২৭ নভেম্বর) অনুষ্ঠিতব্য ৩য়, ৪র্থ ও ৫ম শ্রেণির ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা বিষয়ের তৃতীয় প্রান্তিক মূল্যায়ন পরীক্ষার প্রশ্ন প্রকাশ করে। রাতে বিষয়টি শিবচর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মুন্সি রুহুল আসলামসহ সংশ্লিষ্টদের নজরে আসে। পরে শিবচর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের পরামর্শে আজ (২৭ নভেম্বর) এর সকল পরীক্ষা স্থগিত করেন।
এদিকে সরকারি কর্মচারী (শৃংখলা ও আপিল) বিধিমালা, ধারা ২০১৮ এর ৩(খ) ও (খ) এর অধীনে কার্যক্রমের জন্য মাদারীপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা তাপস কুমার পাল স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে তাকে গতকাল (রবিবার) থেকে সহকারী শিক্ষক মো: নুরুল আমীনকে সাময়িক বরখাস্ত করেন।
এ বিষয়ে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শিখা রানী ওঝার সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি জানান, গতকাল তাদের বাড়িতে অনুষ্ঠানের কারনে তিনি গতকাল (রবিবার) পরীক্ষা শুরু করে দিয়ে অভিযুক্ত শিক্ষককে তার অফিসের চাবি বুঝিয়ে দিয়ে গেলে পরে কি হইছে তিনি তা জানেনা।’
শিবচর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মুন্সি রুহুল আসলাম বলেন,বিষয়টি আমাদের নজরে এলে আমরা সাথে সাথে এ্যাকশনে যাই।আজকের সকল পরীক্ষা স্থগিত করেছি।আমরা ওই শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করেছি ও প্রধান শিক্ষককে কারন দর্শানোর নোটিশ দিয়েছি।শিক্ষা ক্ষেত্রে কোন অনিয়ম ছাড় দিবোনা।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার তাপস কুমার পাল জানান, প্রশ্ন ফাঁসের কারনে আজ সোমবার অনুষ্ঠিতব্য সকল শ্রেনির ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা বিষয়ের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। প্রশ্ন ফাঁসের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে উৎরাইল মুন্সীকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নুরুল আমিনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। আর অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
Leave a Reply