লিবিয়া থেকে ইতালী যাওয়ার পথে ভূ-মধ্য সাগরে যুবকের প্রাণ হানী এ রকম সংবাদ প্রায়ই চোখে পড়ে ।
লিবিয়া থেকে ইতালীর দূরত্ব ১,৭৭৮ কি.মি. এই দীর্ঘ পথে ঝরে যায় বহু তাজা প্রাণ যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হারে রয়েছে বাংলাদেশীরাও ।চলতি বছর অবৈধ পথে প্রায় ৬২,৯৪৩ লোক ইতালীতে প্রবেশ করেছে এবং লিবিয়ান কোষ্ট গার্ড আটক করেছে ৩০,৯৯০ জন ।বাংলাদেশী র সংখ্যা নেহায়েত কম নয় ৯৩৪ .অবৈধ পথে রঙ্গিন জিবনের স্বপ্ন নিয়ে যারা লিবিয়ার পথ ব্যবহার করেন তাদের মুখে শুনেছি ভয়াবহ সেই কষ্টের কথা ,সাগরের ঝুকি তো আছেই সাথে রয়েছে মাফিয়া দের অত্যাচার ,নির্দিষ্ট একটি রুমে দিনের পর দিন আটকে রেখে বাড়িতে ভিডিও কল দিয়ে চাওয়া হয় কয়েক লাখ টাকা যা সবার পক্ষে দেওয়া অসম্ভব টাকা না দিলে নেমে আসে সীমাহীন অত্যাচার ।
এ পথের যাত্রী র সংখ্যাটা মাদারিপুরের অনেক কালকিনি , রাজৈর বহু তরুন সাম্প্রতিক কালে জীবন দিয়েছেন ভবিষ্যতে এ পথে যারা আসবেন ভাবছেন তারা দয়া করে এ পথে আসবেন না আর কোনো মায়ের কিংবা সন্তানের হাহাকার শুনতে চাইনা ।
সমুদ্রে মারা যাওয়া অভিবাসীদের ব্যাগ সংগ্রহ করে ইতালির ল্যাম্পেডুসা দ্বীপে ইতালিয়ান মিউজিয়ামের ভিতরে রাখা হয়েছে।
সেখানে লেখা রয়েছে প্রতিটি ব্যাগের একটি করে গল্প আছে কিন্তু গল্পের মানুষগুলো হারিয়ে গেছে চিরতরে ।
সত্যি এই গল্প গুলো খুব কষ্টের,শুধু সেই মানুষ গুলা না তাদের পরিবারও সাজানো অনেক স্বপ্ন আর আপন মানুষগুলোকে হারাচ্ছে।
আমি কখনোই অবৈধ পথে ইউরোপে যাওয়াকে সমর্থন করিনা। আশা করি কেউই তার পরিবারের কাউকে এভাবে জেনে বুঝে অতিরিক্ত লোভে বিপদের দিকে ঠেলে দিবেন না।
বৈধ পথ ছাড়া অবৈধ পথে পা বাডাবেন না।
লেখকঃ
আবু তালিব হোসাইন মিঠু,ন ইতালী থেকে
Leave a Reply