রফিকুল ইসলাম রাজা
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। এতে আবারো মাদারীপুর ১ (শিবচর) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পেয়েছেন নুর ই আলম চৌধুরী লিটন। এই নিয়ে সপ্তম বারের মতো নৌকার মাঝি হলেন জাতীয় সংসদের সদ্য সাবেক চীফ হুইপ।
রোববার (২৬ নভেম্বর) বিকেলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ২৯৮ সংসদীয় আসনে দল মনোনীত প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন। রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে অবস্থিত আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিকেল সোয়া ৪টার দিকে নাম ঘোষণা শুরু হয়।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায় মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলা গঠিত মাদারীপুর ১ আসন।এখানে ১৮ টি ইউনিয়ন ও ১ টি পৌরসভার নিয়ে গঠিত ২১৮ তম সংসদীয় আসন থেকে সপ্তমবারের মতো মনোনয়ন পেলেন নুর ই আলম চৌধুরী লিটন। এর আগের ৬ বার মনোনয়ন পেয়ে প্রতিবারই নৌকা প্রতীকে জয় পেয়েছেন এই রাজনীতিবিদ।
এর আগে ১৯৯১ সালে পঞ্চম জাতীয় সংসদে তার বাবা ইলিয়াছ আহম্মেদ চৌধুরী সংসদ সদস্য থাকা অবস্থায় মৃত্যু বরন করলে ওই বছর উপনির্বাচনে এর পরে ১৯৯৬, ২০০১, ২০০৮, ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের নির্বাচনে লড়াই করে নির্বাচিত হন।
নুর-ই-আলম চৌধুরী ১৯৬৪ সালের ১ জুন মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলার দত্তপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার মাতার নাম চৌধুরী ফিরোজা বেগম।এছাড়াও তার ছোটভাই মুজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন ফরিদপুর ৪ আসন থেকে ২ বার সতন্ত্র প্রার্থী হয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
শিবচর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ইলিয়াস হোসেন পাশা বলেন, শিবচর থেকে আমাদের তৃনমুল আওয়ামী লীগ একজনকেই মনোনয়ন দিয়ে কেন্দ্রে পাঠিয়েছি।তিনি আমাদের প্রান প্রিয় নেতা নুর ই আলম চৌধুরী লিটন। শিবচরের জনগণ তাকে ৮ বার নিমিনেশন দিয়ে পাঠিয়েছে। এক বার নির্বাচন হয় নাই।যে নির্বাচন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ বর্জন করেছিলো।১৯৯১ সালে শিবচরের স্বপ্নদ্রষ্টা,স্বাধীনতা সংগ্রামের অন্যতম সংগঠক ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী দাদা ভাই মৃত্যু বরন করলে তার জেষ্ঠ ছেলে আমাদের শিবচরে নৌকার হাল ধরেন।তার পরে ৯১ সালে উপ নির্বাচনে তিনি নির্বচিত হন।এর পর ১৯৯৬ ২০১৮ সাল পর্যন্ত তিনি একটানা বিজয়ই হন।এবার নির্বাচনেও আমরা আশা করি কাষ্টিং ভোটের শতকরা ৯৫ ভাগ নৌকা মার্কার প্রার্থী জনাব নুর ই আলম চৌধুরী পাবে এবং শিবচরের মানুষ অধীক আগ্রহ নিয়ে বসে আছেন তাকে ভোট দেওয়ার জন্য।
গত ১৫ নভেম্বর প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল তপশিল ঘোষণা করেন। তপশিল অনুযায়ী, ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ সাধারণ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
Leave a Reply