ষ্টাফ রিপোর্টার:
কেরাণীগঞ্জ মডেল থানা এলাকা থেকে অভিযান চালিয়ে মোবাইল চক্রের দুই সদস্যকে ২০ টি চোরাই মোবাইল সহ গ্রেফতার করেছে পুলিশ। কেরাণীগঞ্জ মডেল থানার এসআই অলক কুমার দে ও এসআই মোঃ রিয়াজ মাহমুদ গোপন তথ্যেও ভিত্তিতে আটিবাজার মসজিদ মার্কেটের সামনে চোরাই মোবাইল ক্রয়-বিক্রয় করার সময় তাদেরকে আটক করে। এসময় তাদের কাছ থেকে একটি ব্যাগে তল্লাসী করে ২০টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। যার কোন বৈধ কাগজ পত্র দেখাতে পারেনি ঐ চক্রটি। শুক্রবার কেরাণীগঞ্জ মডেল থানায় ৪১৩ ধারায় একটি মামলা (নং-৬৯) দায়ের হয়েছে। আসামীদের ঐ মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ৭ দিনের রিমান্ড চেয়েছেন। আদালত কোন আদেশ এখন পর্যন্ত দেয়নি।
কেরাণীগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মামুন অর-রশিদ, পিপিএম বলেন, শুক্রবার সকালে তাদের নিকট গোপন সংবাদ আসে একটি চক্র চোরাই মোবাইল বিক্রী করতেছে। এ খবর পেয়ে ও পুলিশ সুপার মোঃ -আসাদুজ্জামান (পিপিএম- বার) ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (কেরাণীগঞ্জ সার্কেল) মোঃ শাহাবুদ্দীন কবীর (বিপিএম)এর নির্দেশে অভিযান চালিয়ে তাহাদেরকে দুইজনকে একটি ব্যাগ সহ আটক করা হয়। ব্যাগ তল্লাশি করে ২০টি মোবাইল পাওয়া যায়। যার কোন কাগজপত্র নাই। এরমধ্যে তিনটি মোবাইলের আইএমইআই নম্বর কাটা। আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদে তারা বিভিন্ন এলাকা হইতে চোরদের মাধ্যমে চোরাই মোবাইল সংগ্রহ করে আইএমইআই নম্বর নষ্ট করে বিভিন্ন মানুষের কাছে বিক্রয় করে আসছে। তারা একটি সংঘবদ্ধ চোরাই মোবাইল চক্রের সক্রিয় সদস্য। তারা চোরাই মোবাইলগুলোকে অভিনব কায়দায় আইএমইআই নম্বর কেটে ফেলে। যার ফলে চোরাই মোবাইল এর প্রকৃত মালিক সনাক্ত করা অসম্ভব হয়ে পড়ে।
আসামীরা হলো ভোলা জেলার তজিমউদ্দিন থানার ডায়াপার গ্রামের অনিল চন্দ্র দাসের পুত্র উজ্জল চন্দ্র দাস @আব্দুল্লাহ আল মামুন@ নোমান (৪৩) ও কেরাণীগঞ্জ থানার চরওয়াসপুর এলাকার হাজী আলেক মিয়ার পুত্র মোঃ সাদিক হোসেন (২১)।
উল্লেখ্য যে, কেরানীগঞ্জ মডেল থানার এই চৌকস অভিযানিক টিম ইতিপূর্বে অনেক চাঞ্চল্যকর ডাকাতি মামলা উদঘাটন ও বিপুল সংখ্যক মাদকদ্রব্য উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে।
Leave a Reply