আবু সালেহ রওসাদ,স্টাফ করেসপন্ডেন্টঃ
কোভিড ১৯ মোকাবিলায় মসজিদে জামাতে নামাজে বেশী মুসল্লী হওয়ার অভিযোগ মাদারীপুরের শিবচরে একটি মসজিদে তদন্ত করেন শিবচর থানা পুলিশের একটি দল।
রবিবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরের দিকে শিবচর থানা পুলিশ উপজেলার বন্দোরখোলা ইউনিয়নের রাজারচর মফিতুল্লাহ্ হাওলাদার কান্দি গ্রামের তালুকদার বাড়ির মসজিদের জামাতে মুসুল্লির সংখ্যা বেশি হয়ওয়ার অভিযোগের তদন্ত করতে আসেন।
শিবচর থানা পুলিশের উপ পরিদর্শক (এস,আই) কামরুল হাসান বলেন, স্থানীয় কেউ মোবাইল ফোনের মাধ্যমে অভিযোগ করেছেন এই মসজিদে সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে প্রচুর পরিমানে মুসুল্লির সমাগম করে তারাবীর জামাত করা হয়।মাদারীপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে ম্যাসেজের মাধ্যমে অভিযোগটি শিবচর থানা পুলিশের নিকট পাঠানো হয়। আমরা তার তদন্ত করার জন্য সরেজমিনে এসেছি। কোভিড ১৯ মোকাবিলায় জনসচেতনতা বৃদ্ধি করা ও জনগনের উপর সরকারের নির্দেশনা বাস্তবায়ন করা পুলিশের নৈতিক দায়িত্ব, কেহ আইন অমান্য করলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।
জানা যায়,কোভিড ১৯ মোকাবিলায় মসজিদে জামাতে প্রতি ওয়াক্তের নামাজে সর্বোচ্চ ০৫ জন, জুমার নামাজে সর্বোচ্চ ১০ জন মুসুল্লির সংখা নির্ধারন করে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রনালয় ০৬.০৪.২০২০ তারিখে ১৬.০০.০০০০.০০১.২১.০০৩.২০২০-১৪৮ নম্বর একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে।
পূর্বের বিপ্তির ধারাবাহিকতায় গত ২৩ এপ্রিল ২০২০ তারিখে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রনালয় বিজ্ঞপ্তিতে বলেন,আসন্ন মাহে রমজানের এশার জামাতে ইমাম, মুয়াজ্জিন, খতিব, খাদেম এবং দুইজন হাফেজ সহ সর্বোচ্চ ১২ জন অংশ গ্রহন করতে পারবেন।এশার নামাজ শেষে এই ১২ জনই তারাবির নামাজে অংশ নিতে পারবেন।
অন্যান্য মুসুল্লিরা নিজ নিজ ঘড়ে নামাজ আদায় করবেন।
স্থানীয় জয়নাল তালুকদার, ঠান্ডু তালুকদার, নুরে আলম তালুকদারসহ কয়েকজনের সাথে কথাবলে জানা যায়,গ্রামটিতে বংশভেদে ৫ টি জামে মসজিদ সহ মোট ১১ টি ছোট বড় মসজিদ রয়েছে, কিন্তু যে মসজিদের জামাতে সরকারের নির্দেশনা অমান্য করার ব্যাপারে পুলিশে অভিযোগ করা হয়েছে এটি একটি ছোট্ট পাঞ্জেগানা মসজিদ এবং তালুকদার বংশীয় মসজিদ। সাধারনত এই মসজিদে জামাত ছোট হয়। এবছর রমজান উপলক্ষে তারাবির নামাজের জন্য ইমাম রাখার ব্যাপারে মতানৈক্য হয়েছিলো। রশিদ তালুকদার নামে আমাদের বংশের এক চাচা মসজিদে রমজানে ইমামতি করতে ইচ্ছা পোষন করলে আমরা তা মেনে নেইনি।এ জন্য রশিদ তালুকদার এমন মিথ্যা অভিযোগ করেছেন। আমরা সরকারের নির্দেশনা মেনেই মসজিদে জামাত করছি।
মসজিদের ইমাম মাওলানা ইউসুফ হোসেন বলেন
আমি প্রতি ওয়াক্তে সরকারের নির্দেশ মোতাবেক জামাত করছি, কখনো কখনো ছোট বাচ্চরা জামাতে কাতারের পেছনে এসে দাড়িয়ে যায়, এজন্য নিদ্রিষ্ট সংখক মুসুল্লির উপস্থিতির পর মসজিদের দরজা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
Leave a Reply