মোহাম্মদ ইমদাদুল হক মিলন, মাদারীপুর।
স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ফ্রেন্ডস ৮৪ মাদারীপুর এর উদ্যোগে অসহায়, হতদরিদ্র ও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর মাঝে ৫৮টি কম্বল বিতরণ করা হযেছে।
শনিবার (৯ জানুয়ারী) বিকেল ৩ টায় মাদারীপুর সদর উপজেলার মস্তফাপুর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে অসহায়, হতদরিদ্র ও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর মাঝে কম্বল বিতরণ করেন।
এসময় জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন বলেন, ‘‘আমি যখন ফ্রেন্ডস ৮৪ এর কথা শুনেছি তখন আমি নিজে ইচ্ছা পোষণ করেছি যে, এখানে আমি আসবো। আমার দেখার ইচ্ছা ছিল যে, আসলে মাদারীপুরে গরীব মানুষ আছে কি না? আমার ধারণা ছিল মাদারীপুর গরীব মানুষ নাই। আর খুব শীঘ্রই মাদারীপুরে কোন গরীব মানুষ থাকবে না।’’
ফ্রেন্ডস ৮৪ মাদারীপুর এর সদস্য এ্যাডভোকেট ইব্রাহিম খান জানান, ৮৪ সনে এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন তাদের নিয়ে মাদারীপুরে একটি অরাজনৈতিক সামাজিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ফ্রেন্ডস ৮৪ মাদারীপুর গড়ে তোলেন। ফ্রেন্ডস ৮৪ মাদারীপুর হচ্ছে সুুবিধাবঞ্চিত, অসহায় ও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর মাঝে সহায়তা প্রদান করাই তাদের একমাত্র উদ্দেশ্য। তিনি আরো বলেন, আমরা গত করোনাকালীন সময়ে মাদারীপুর জেলায় প্রায় সাড়ে ছয় লক্ষ টাকা সহায়তা প্রদান করেছি। প্রাক্তন জেলা প্রশাসক, উপজেলা চেয়ারম্যান ও মেয়র মহোদয়কে সাথে নিয়ে তিনটি ক্যাটেগরীতে এই সহায়তা প্রদান করেছি। প্রথম ক্যাটেগরীতে অসহায় হতদরিদ্র, দ্বিতীয় ক্যাটেগরীতে মধ্যবিত্ত যারা হাত পাততে পারতে না, মুখে বলতে পারতো না কিন্তু করোনায় অসুবিধা ছিল এবং তৃতীয় ক্যাটেগরী হচ্ছে ৮৪ এর বন্ধুদের মধ্যে যারা অসহায় ছিল। এবারের কনকনে শীতে আমরা মাদারীপুরের কামালদী থেকে চৌরাস্তা পর্যন্ত ভাসমান লোকজনের মাঝে কম্বল বিতরণ করছি। ইব্রাহিম খান আরো বলেন, মস্তফাপুর ইউনিয়নের বেদে পল্লী, জেলে পল্লী, চতুরপাড়া, বড়মেহের, উত্তর খাগছাড়া, পাশর্^বর্তী লেবুতলী, দেবরাজ গ্রামের গরীব, অসহায় ও শীতার্ত মানুষের মধ্যে কম্বল দেওয়া হয়েছে। এর আগে গতকাল শুক্রবার দিনব্যাপী বন্ধুসভার ফ্রেন্ডস ৮৪ মাদারীপুর এর সদস্যদের সহযোগিতায় ওই সব গ্রামে অসহায় ও হতদরিদ্র মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণের ¯িøপ দিয়ে আসেন।
কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মস্তফাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি আ: রব খান, অত্র বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও ৮৪ মাদারীপুর এর সদস্য বোরহান উদ্দিন, এ্যাডভোকেট গোলাম কিবরিয়া হাওলাদার, লেনিন ভ‚ইয়া, আসাদ শিকদারসহ অন্যান্য সদস্যরা ও অত্র বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ আরো অনেকেইে।
কম্বল নিতে আসা বড় মেহের গ্রামের প্রতিবন্ধী রিয়াদ হাওলাদার বলেন, ‘না খেয়ে একবেলা থাকা যায়। কিন্তু শীতের কষ্টে রাইতে ঘুম ধরে না। কম্বলটি পেয়ে ভালো হইছে বাবা। আজগে আরামে ঘুমাতে পারবো। শীত আর আমাদের কষ্ট দিতে পারবে না।
Leave a Reply