ডেস্ক রিপোর্টঃ
মাদারীপুরে কঠোর লকডাউনেও থেমে নেই করোনা রোগী সংক্রমনের সংখ্যা। প্রতিদিনই লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। হঠাৎ করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে গত মঙ্গলবার থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত কঠোর লকডাউন দেয়া হয়েছে।
মাদারীপুরে প্রশাসনের কঠোর নজরদারীতে থাকা সত্ত্বেও গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে এ জেলায় আরো ৫৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে সদরে ১৬ জন, কালকিনিতে ৩ জন, শিবচরে ১২ জন ও রাজৈর উপজেলায় ২৩ জন।
শুক্রবার (২৫ জুন) বিকেল ৪ টার দিকে জেলার সিভিল সার্জন অফিস গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন
তারা আরো জানান,জেলায় মোট সনাক্ত ২৬৭৮ জন।তার মধ্য সদরে ১২৫৮ জন ,কালকিনিতে ৩৭৫ জন ,রাজৈরে ৬৬৪,শিবচরে ৩৮১ জন।জেলায় এ পর্যন্ত মোট প্রাপ্ত নমুনা পরীক্ষার ফল ২০৬৫৬ টি।এরমধ্য মোট সুস্থ হয়েছেন ২৩১৩ জন।মোট মৃত্যু বরন করেন ৩১ জন। জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে মোট চিকিৎসাধীন ৩৩৪ জন।
(হাসপাতাল আইসোলেশন: ২ জন, হোম আইসোলেশন: ৩৩২ জন)
মাদারীপুর জেলার সিভিল সার্জন ডা. সফিকুল ইসলাম জানান, মাদারীপুর জেলার চারটি উপজেলার মধ্যে তিনটি উপজেলার সাথেই গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলায় সীমান্ত এলাকা। কোটালীপাড়ার সাথে মাদারীপুরের এই তিন উপজেলার মানুষের অবাধ যাতায়াত। কোটালীপাড়ায় ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট (ডেলটা করোনা) পাওয়া গেছে। এটি সীমান্তবর্তী এলাকা মাদারীপুর জেলার রাজৈর উপজেলার সবচেয়ে বেশি কাছে। এতে মাদারীপুরে রয়েছে চরম ঝুঁকিতে।
মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এহসানুর রহমান ভূঁইয়া বলেন, ‘লকডাউন কার্যকর করতে আমরা সার্বিকভাবে কাজ করে যাচ্ছি। গ্রামের মধ্য দিয়ে যানবাহন চলাচল করলে সেটা বন্ধ করা কঠিন কাজ। সার্বক্ষণিক লকডাউন কার্যকর করতে জেলার উল্লেখযোগ্য জায়গায় পুলিশ কাজ করছে। যেখানে যখন প্রয়োজন, সেখানে পুলিশ যাচ্ছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক রহিমা খাতুন বলেন, ‘লকডাউন কার্যকর করতে বিভিন্ন হাটবাজারগুলোয় একাধিক ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালাচ্ছেন। এ বিষয়ে প্রচার প্রচারনাও চালানো হচ্ছে। পুলিশ সদস্যরাও সড়কের বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নিয়েছেন।বিনা কারণে কাউকে বের হতে দিচ্ছি না। এছাড়া, শহরের প্রতিটা প্রবেশমুখে ব্যারিকেড দিয়ে ও কঠোর নজরদারিতে রয়েছে।
Leave a Reply