শিবচর উপজেলা করেসপন্ডেন্টঃ
শিবচরে নবম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে (১৪) ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে । আর এ ঘটনার বিচার চাওয়ায় অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতার হাতে নির্যাতিতার বাবা মারধরের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
শনিবার (২৯ মে) সকালে মাদারীপুর সদর মডেল থানা পুলিশ অভিযুক্ত মোস্তাফিজুর রহমান নাসীর (২৭) কে আটক করেছে।
আটক মোস্তাফিজুর রহমান নাসীর শিবচর উপজেলার বাশকান্দি ইউনিয়নের মৃর্জারচর মুন্সি কান্দি গ্রামে সাহাবুদ্দিন মুন্সীর ছেলে। সে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ও ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের মাদারীপুর জেলা ছাত্র কল্যান সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক। এছাড়াও স্থগিত হওয়া শিবচর উপজেলার বাঁশকান্দি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে প্রচারনায় অংশ নিয়েছিলেন।তবে দলীয় সমর্থন না পেয়ে তিনি আর নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেননি।
আর নির্যাতিতা ওই এলাকার একটি মাদ্রাসার নবম শ্রেনীর শিক্ষার্থী।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার বাঁশকান্দি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডে প্রচারনায় প্রচারনায় নামে মোস্তাফিজুর রহমান নাসির। সেই হিসেবে ৩ মাস আগে ওই শিক্ষার্থীর বাড়িতে ভোট চাইতে গেলে নাসিরের সাথে ওই এলাকার এক শিক্ষার্থীর সাথে পরিচয় হয়। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়। গত ২১ মে বেলা ১১ টার দিকে মেয়েটিকে ঘুরতে যাওয়ার কথা বলে পার্শ্ববর্তী বহেরাতলা ইউনিয়নের সাহেবের হাট এলাকায় নাসিরের এক বন্ধুর বাড়ি নিয়ে গিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষন করে
বলে অভিযোগ নির্যাতিতা ও তার পরিবারের। পরে পরিবারের লোকজন বিষয়টি টের পেয়ে মাদ্রাসাছাত্রীকে খোঁজাখুঁজি শুরু করে।একপর্যায়ে ঘটনাস্থল থেকে অসুস্থ অবস্থায় মেয়েটিকে উদ্ধার করে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন তার পরিবার।
এরপর এলাকার মাদবরদের কাছে সালিশ চেয়েও কোন বিচার পায়নি নির্যাতিতার পরিবার। পরে বাধ্য হয়ে ভুক্তভোগি পরিবার আদালতে অভিযোগ দায়ের করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে অভিযুক্ত নাসির।
তবে ঘটনাটির সমাধানের কথা বলে নির্যাতিতার বাবাকে শনিবার(২৯ মে) সকাল ১০ টার দিকে মাদারীপুর শহরের একটি আবাসিক হোটেলে ডেকে মারধর করে সে। স্থানীয়রা বিষয়টি টের পেয়ে সদর মডেল থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে নাসিরকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
নির্যাতিতা ওই শিক্ষার্থী অভিযোগ করে বলে, ‘ নাসীর আমার জীবন নষ্ট করেছে।নাসিরের কঠিন বিচার চাই”
মেয়েটির বাবা জানান, নাসির ও তার বাবা চাচারা প্রভাবশালী।সেজন্য এলাকায় তার খুব প্রভাব। মাদবরদের কাছে বিচার চেয়েও পাইনি। উল্টো নাসিরের হাতে আমাকে অপমানিত হতে হলো
শিবচর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মিরাজ হোসেন বলেন, আমরা অভিযুক্তকে থানায় এনেছি।মামলার প্রস্তুতি চলছে।
Leave a Reply