জাজিরা করেসপন্ডেন্ট, শিবচরনিউজ২৪
র্যাব-৮, সিপিসি-৩, মাদারীপুর ক্যাম্পের একটি বিশেষ আভিযানিক দল কোম্পানী অধিনায়ক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জনাব মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম এর নেতৃত্বে গ্রাম এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে এক কলেজ ছাত্রীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে আপত্তিকর অশ্লীল ছবি ও গোপনে ধারণকৃত ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে ৫ লক্ষ টাকা দাবী করার অভিযোগে ১। মোঃ বেলাল হোসেন মাদবর(২৬), পিতাঃ মৃত সেকেন্দার আলী মাদবর, সাং-কাশাভোগ, থানাঃ পালং, জেলাঃ শরীয়তপুরকে আটক করেন।
বৃহস্পতিবার (০৯ জুলাই) দুপুরে জাজিরা থানাধীন কাজীকান্দি থেকে আটক করা হয়।
ঘটনার বিবরণে জানা যায় যে, ভিকটিম সরকারী কলেজের ইসলামের ইতিহাস বিভাগের শেষ বর্ষের ছাত্রী এবং জাজিরা মর্ডাণ ক্লিনিকে রিসিপশনিষ্ট পদে চাকুরী করে। ভিকটিম আনুমানিক ১০(দশ) মাস পূর্বে শরীয়তপুর কলেজে যাওয়ার পথে অভিযুক্ত মোঃ বেলার হোসেন সরদার(২৬) এর পরিচয় হয় এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সিএমএইচ এ চাকুরী দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে সুসম্পর্ক গড়ে তোলে। উক্ত সম্পর্কের জের ধরে গত ২১-০৬-২০২০ইং তারিখে আনুমানিক দুপুর ১৪.০০ ঘটিকায় অভিযুক্ত ভিকটিমের সাথে চাকুরীর বিষয়ে আলাপ করার জন্য ফুসলিয়ে-ফাসলিয়ে মাদারীপুর জেলার সদর থানাধীন “মোটেল মতি(আবাসিক)” এর ১২৫ নম্বর কক্ষে নিয়ে যায় এবং সেখানে ভিকটিমকে ভয়ভীতি দেখিয়ে জোরপূর্বক তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করে ও গোপনে অভিযুক্ত তার মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ধর্ষণের অশ্লীল ছবি ও নগ্ন ভিডিও ধারণ করে এবং দীর্ঘ ৩/৪ ঘন্টা ধরে ভিকটিমকে আটকে রেখে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে। ভিকটিম ধর্ষণের বিষয়ে কাউকে কিছু বললে অথবা পুলিশের নিকট অভিযোগ দায়ের করলে উক্ত অশ্লীল ছবি ও নগ্ন ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ছড়িয়ে দেবে এবং ভিকটিমকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। এছাড়াও ভিকটিম কলেজে যাওয়া আসার পথে অভিযুক্ত প্রায়ই উক্ত অশ্লীল ছবি ও নগ্ন ভিডিও দেখিয়ে কুপ্রস্তাব দেয় এবং অভিযুক্ত ভিকটিমের নিকট ৫ লক্ষ টাকা দাবী করে। ভিকটিম অভিযুক্তের উক্ত কুপ্রস্তাব এবং দাবীকৃত টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় অভিযুক্ত ভিকটিমের উক্ত অশ্লীল ছবি ও গোপনে মোবাইলে ধারণকৃত নগ্ন ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়।
ঘটনা হতে পরিত্রাণ পাওয়ার নিমিত্তে গত ০৮ জুলাই ২০২০ইং তারিখ র্যাব-৮, সিপিসি-৩, মাদারীপুর ক্যাম্পের নিকট অভিযোগ দায়ের করেন।
উল্লেখ্য যে, ঘটনাস্থল মাদারীপুর সদর থানায় হওয়ায় আটককৃত আসামীকে মাদারীপুর জেলার সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। উক্ত ঘটনার বিষয়ে ভিকটিম নিজেই বাদী হয়ে মাদারীপুর জেলার সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করনে।
Leave a Reply