ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, মাদারীপুরঃ
মাদারীপুর জেলার শিবচরের কাঁঠালবাড়ী ঘাট থেকে অপহরনের শিকার এক শিশুকে উদ্ধার করে পরিবারের কাছে পৌছে দিয়েছে শিবচর থানা পুলিশ।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কাঁঠালবাড়ী ঘাট থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করে পুলিশ। শুক্রবার (১০ জুলাই) পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দেয়া হয়। শিশুটিকে গাজীপুরের গাছা এলাকা থেকে গত দুইদিন পূর্বে অপহরন করা হয়। পরে সাত লাখ টাকা মুক্তিপন দাবি করে অপহরণকারী।
শিবচর থানা পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গাজীপুরের গাছার মধ্যপাড়া গ্রামে গ্রীস প্রবাসী আব্দুল কাদেরের স্ত্রী সাজেদা আক্তার তার সাড়ে ৩ বছরের এক মাত্র শিশু ছেলে আবদুল্লাহকে নিয়ে নিজ বাড়িতে বসবাস করতো। মঙ্গলবার তার বাড়িতে এক নারী বাসা ভাড়া নেয়। বাসা ভাড়া নেয়ার পর বাড়িওয়ালা সাজেদার সাথে সখ্যতা গড়ে তোলে।
বুধবার বেলা ১১ টার দিক ওই ভাড়াটিয়া নারী শিশু আব্দুল্লাহকে নিয়ে বাজারে যেতে চাইলে শিশুটির মা স্বাচ্ছন্দেই বাজারে যেতে দেন। কিন্তু এক ঘন্টারও বেশি সময় পার হলেও ওই নারী শিশু সন্তানকে নিয়ে ফিরে না আসলে মা সাজেদা তাকে ফোন দেয়। সে বলে আমি ১০/১৫ মিনিট পর আসছি। এরপরও সে না ফেরায় আবারো আধা ঘন্টা পর ফোন দিলে সে একই কথা বলে। কয়েক ঘন্টা পর ওই নারী সাজেদার কাছে সন্তানকে পেতে হলে ৭ লাখ টাকা মুক্তিপন দাবী করে।
এরপর মঙ্গলবার রাতেই শিশুটির মা সাজেদা গাজীপুরের গাছা থানায় অভিযোগ করে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে পুলিশ ও র্যাব মাঠে নামে। কিন্তু বারবার স্থান পরিবর্তন করে অপহরনকারীরা। এদিকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় অজ্ঞাত শিশুটি কাঠালবাড়ি ফেরি ঘাটে কাঁদতে থাকায় পুলিশ উদ্ধার করে। পরে ওর গেঞ্জিতে লেখা থাকা ওর মায়ের মোবাইল নাম্বারে কল দিয়ে শিবচর থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ নিশ্চিত হন শিশুটি অপহরনের শিকার হয়েছে। শুক্রবার সকালে শিশুটির পরিবারের সদস্যরা গাছা থানা পুলিশের টিম নিয়ে আবদুল্লাহকে নিতে শিবচর থানায় আসে।
শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) আবুল কালাম আজাদ জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কাঁঠালবাড়ী ঘাটে শিশুটিকে কাঁদতে দেখে নানা প্রশ্ন করেও সদুত্তর পাওয়া যায় নি। পরে আমরা তাকে থানায় নিয়ে আসি। এদিকে শিশুটির পরনের গেঞ্জিতে থাকা মোবাইল নম্বর দেখে ফোন দিলে শিশুটির মা ফোন রিসিভ করে। তখন শিশুটি অপহরণের শিকার বিষয়টি বুঝতে পারি।
শুক্রবার সকালে শিশুটির পরিবারের সদস্যরা গাছা থানার টিম নিয়ে আবদুল্লাহকে নিতে শিবচর থানায় আসে। শিশুটিকে গাছা থানা পুলিশের মাধ্যমে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।’
Leave a Reply