শিবচরনিউজ২৪ডেস্কঃ
মাদারীপুরের শিবচরে করোনা মোকাবেলায় সরকারি নিয়মানুসারে সবাইকে ঘরে থাকার নির্দেশ দেওয়া হলেও করোনা আতঙ্ক নেই উপজেলার চরাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায়।এসব এলাকায় সাধারণ মানুষ সরকারি নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করেই দল বেধে সারি বদ্ধ হয়ে ভীড় জমিয়েছেন বিভিন্ন ছোট বাজার ও রাস্তার মোড়ে গড়ে ওঠা বাজার গুলোতে।
শিবচর উপজেলা প্রশাসনের কাছ থেকে জানা যায়,শিবচর উপজেলাটি করোনা ভাইরাসের মারাত্মত ঝঁকিতে থাকায় আজ ১৪ দিন ধরে জেলা প্রশাসনের নজরদারিতে রয়েছে উপজেলা জুড়ে সব এলাকা।এসব এলাকায় জন সাধারননের চলাচল নিয়ন্ত্রনে পুলিশ পাহাড়ায় রেখে মানুষের প্রবেশাধিকার সংরক্ষিত করা হয়েছে।প্রতিটি হাট বাজারে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দোকান ব্যতীত সব দোকান, যান বাহন টানা ১৪ দিন ধরে বন্ধ রয়েছে। তবে চরাঞ্চলের হাট বাজারগুলোর চেহারা একবারেই ভিন্ন।
বৃহস্পতিবার (২ এপ্রিল) সরেজমিনে উপজেলার মাদবরেচর ও বন্দোরখোলা ইউনিয়নের বিভিন্ন হাট বাজার ও গ্রামে গিয়ে দেখা যায় সকারের কোন নির্দেশনা মানছেন না খেটে খাওয়া দিনমজুর ও নিন্ম আয়ের সাধারণ মানুষ।প্রতিটি হাটে বাজারে গাদাগাদি করে মানুষ মাছের বাজার, মাংসের বাজার, চায়ের দোকান, প্রসাধনীসহ ব্রয়লার মুরগির দোকান পর্যন্ত কোন ব্যবসায়ীই মানছেন না কোন নির্দেশনা।
অন্যদিকে বৃহস্পতিবার ও রবিবারের সাপ্তাহিক হাট ঐতিহ্যবাহী মাদবরেরচর হাটে গিয়ে দেখা যায়, লোকজনের সমাগম ছিল স্বাভাবিক হাটের মতোই।কিছু দোকানপাট বন্ধ থাকলেও প্রায় ৮০ থেকে ৯০ ভাগ দোকানই খোলা আছে এ হাটে।চলাচল করছে ভ্যান, ইজিবাইকসহ সকল ধরনের যানবাহন। তবে করোনা ভাইরাসের জন্য যেখানে কঠোর আইন ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকার কথা সেখানে কোন আইন মানছেন না সাধারণ মানুষ।
মোকসেদ খান নামে মাদবরেচর হাটে আসা এক ব্যক্তির কাছে হাটে আসার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঔষধ কিনতে আসছি,অথচ তিনি মাস্ক ব্যবহার ছাড়াই দাড়িয়ে আছেন জনসমাগম হয় এমন স্থানে।
রায়হান নামের এক মৌসুমি শাক বিক্রেতা জানান, ‘আমাগো ক্ষেতের শাক বিক্রি করতে আইছি।শাকগুলা বড় হইয়ে গেছে,ক্ষেতে থাকলেতো রোদে মরে যাবে’
এর পর যাওয়া হয় বন্দোরখোলা ইউনিয়নের মালের হাটে।হাটটি আয়তনে ছোট হলেও যেখানে সন্ধা নামলেই উৎসবের স্থানে পরিনত হয়।যেখানে দিনের প্রথম বেলায় তেমন কাউকে বাইরে দেখা যায় না। কিন্তু বিকেল ও সন্ধ্যা হলেই গ্রামের পাড়া-মহল্লা, চায়ের দোকানে সহ রাস্তার মোড়ে মোড়ে ভীড় জমে উঠ।সেখানে দেখা যায় সকল দোকান পাট খোলা রয়েছে।কারো করোনার কোন আতঙ্ক নেই।কারো মুখে মাস্ক নেই।হাটে লোকজনের সমাগমে মনে হচ্ছে দুই একদিন পরে ঈদ।হাটে আসার বিষয়ে কয়েকজন কে জিজ্ঞাসা করলে তারা বলেন’ আমাগো এইহানে কোন করোনা নাই’এরপরে সাংবাদিক পরিচয়ে ছবি তুলতে গেলে অনেকই অন্যদিকে চেয়ে চলে যান আত্মগোপনে।
এলাকার যুবক সোহেল মিয়া বলেন এখানে নেই প্রশাসনের চাপ,আসেনা কোন পুলিশ।এখানে কারো মাঝে করোনার কোন আতঙ্ক নেই।
এছাড়াও বন্দোরখোলা ইউনিয়নের কাজিরসূরা বাজারে গিয়ে দেখা যায় একই চিত্র।
এ বিষয়ে সহকারী পুলিশ সুপার( শিবচর সার্কেল) আবির হোসেন বলেন, উর্ধ্বতন কর্মকর্তার নির্দেশ অনুযায়ী আমরা উপজেলার দূর্গম এলাকায় হোন্ড মোবাইল সার্ভিস চালু রেখেছে।যেখানে কয়েকজন পুলিশ হোন্ডা নিয়ে এলাকায় তদারকি করছেন।আমরা সবাইকে সচেতন ও নিরাপদ থাকার আহ্বান জানিয়েছি।তারপরেও বিভিন্ন অযুহাতে মানুষ গর থেকে বেরিয়ে আসে।
অন্যায়ের ও দূর্নীতির বিরুদ্ধে শিবচরনিউজ২৪.কমকে তথ্য দিয়ে সেবা নিন।
Leave a Reply