শিবচরনিউজ২৪.কম ডেস্কঃ
র্যাব-৮, সিপিসি-৩, মাদারীপুর ক্যাম্পের একটি বিশেষ আভিযানিক দল কোম্পানী অধিনায়ক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জনাব মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম এর নেতৃত্বে এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়।
মঙ্গলবার (১৬ জুন) রাত আনুমানিক ০০.৩০ ঘটিকার সময় শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া থানাধীন বারুইপাড়া গ্রাম এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে এক গৃহবধুর আপত্তিকর অশ্লীল ছবি ও ভিডিও ধারণ করার অভিযোগে মোঃ আলী আজম(২৯), পিতাঃ আব্দুস সোবাহান হাওলাদার, সাং-হালিসার, থানাঃ নড়িয়া, জেলাঃ শরীয়তপুরকে আটক করেন।
ঘটনার বিবরণে জানা যায় যে, গত ২০১৪ সালের আগষ্ট মাসে অভিযুক্ত মোঃ আলী আজম এর সাথে ভিকটিমের বিবাহ হয়। বিবাহের পর থেকে অভিযুক্ত ভিকটিমকে ভয়ভিতী দেখিয়ে এবং বিভিন্ন অজুহাতে শারীরিক ও মানষিকভাবে নির্যাতন করতে থাকে। অভিযুক্ত ব্যক্তি ভিকটিমের সাথে শারীরিক মেলামেষার সময় ভিকটিমের ইচ্ছার বিরুদ্ধে অভিযুক্ত কৌঁশলে তার মোবাইলে বিভিন্ন ভাবে অশ্লীল ছবি ও ভিডিও ধারণ করে। একপর্যায়ে ভিকটিম অভিযুক্তের নির্যাতনে অতিষ্ট হয়ে ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে সিরাজগঞ্জ বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে ভিকটিমের বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটায়। তখন অভিযুক্ত মোঃ আলী আজম ভিকটিমের তালাক নামার কপি প্রাপ্ত হয়ে ভিকটিমের নামে একাধিক ভূয়া ফেইসবুক আইডি খোলে। পরবর্তীতে অভিযুক্ত তার ফোনের মাধ্যমে ভিকটিমের উক্ত অশ্লীল ছবি ও ধারণকৃত ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে ভিকটিমের বাবাকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি দিতে থাকে। এক পর্যায় ভিকটিম জানতে পারে যে, অভিযুক্ত তার ফোন থেকে ওংৎধঃ ঔধযধহ ইরঃযর নামে দুইটি ভূয়া ফেইসবুক আইডি খুলে বিভিন্ন লেখাসহ ভিকটিমের অশ্লীল ছবি ও ধারণকৃত ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়। উক্ত ঘটনা হতে পরিত্রাণ পাওয়ার নিমিত্তে গত ১৫ জুন ২০২০ইং তারিখ র্যাব-৮, সিপিসি-৩, মাদারীপুর ক্যাম্পের নিকট অভিযোগ দায়ের করেন।
আটককৃত আসামীকে শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
উক্ত ঘটনার বিষয়ে ভিকটিম নিজেই বাদী হয়ে শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করনে
Leave a Reply