নিজস্ব প্রতিবেদক,শিবচরনিউজ২৪.কম
মাদারীপুরের শিবচর উপজেলা প্রাণিসম্পদ হাসপাতালের বেহাল দশা।যেখানে ১১টি পদের মধ্যে ৩টিই রয়েছে শূন্য।এছাড়াও বিগত ৭ বছর ধরে ভেটেরিনারী সার্জন ছাড়াই চলছে এই সরকারী হাসপাতালটি।
শিবচর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় পর্যাপ্ত গবাদিপশু আছে,নেই শুধু সেবা দেবার জন্য প্রয়োজনীয় জনবল।উপজেলার পৌরএলাকার গুয়াতলা এলাকায় এ হাসপাতালটি অবস্থিত।একসময় হাসপাতালটি জরাজীর্ন থাকলেও বর্তমানে আধুনিক করনের কাজ চলমান।
মঙ্গলবার (২৮ জুলাই) শিবচরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে মানুষের সাথে কথা বলে জানা যায়, হাতের কাছে হাসপাতাল, সরকারী প্রনোদনা আর অর্থিক লাভের কথা বিবেচনা করে এখানেইদানিং বেশ কিছু গরু, ছাগল ও পোলট্রি খামার গড়ে ওঠে।
এদিকে বর্তমান সরকার যখন দেশকে দারিদ্র্য মুক্ত করতে বিভিন্ন উপায়ে যেমন, ছাগল পালন, হাঁস-মুরগীর খামার,গবাদী পশু পালনে মানুষদের আগ্রহী করছেন ঠিক সেই সময়ে সরকারি প্রাণী সম্পদ অফিসের প্রয়োজনীয় জনবলের অভাবে উপজেলার এই প্রাণী সম্পদ হাসপাতালটির কার্যক্রম ধীরে ধীরে স্থবির হয়ে পড়েছে।
শিবচর উপজেলা প্রানী সম্পদ অফিস সুত্রে জানা যায়, হাসপাতালটিতে ১১টি পদ রয়েছে। এর মধ্যে সাত বছর ধরে শুন্য একজন ভেটেরিনারী সার্জন, ৪ বছর ধরে শুন্য একজন ড্রেসার ও শুন্য রয়েছে উপসহকারি প্রানী সম্পদ কর্মকর্তা (প্রানী ও স্বাস্থ্য) পদটি।এছাড়াও আগামী মাসে শুন্য হতে যাচ্ছে অফিস সহকারি কাম কম্পিউটার অপারেটর পদটিও।
জানাযায়,এখানে প্রতিদিন গড়ে ১৫ থেকে ১৮ জন বিভিন্ন সেবা যেমন কৃত্তিম প্রজনন ,ছাগলের ঠান্ডা কাশিসহ ভ্যাক্সিন দিতে আসেন।তবে বিভিন্ন কর্মচারী ও উপসহকারী কর্মকর্তারাই চিকিৎসা দিচ্ছেন। অনেকে হাসপাতালে যথাযথ চিকিৎসা না পেয়ে গ্রামের বিভিন্ন হাতুড়ে ডাক্তার দ্বারা তাদের পশু চিকিৎসা করাচ্ছেন।
মাদবরেরচর এলাকা থেকে আসা মোঃ সাহেব আলী বলেন, আমরা গরু নিয়ে আসলে এখানে যারা আছে তারাই চিকিৎসা দেন।আমরাতো এতো কিছু বুঝিনা।
শিবচর উপজেলা প্রানী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ সরোয়ার হোসেন শিকদার বলেন,”শিবচর উপজেলা প্রানী সম্পদ অফিস কর্তৃক এখানে আনীত গাবাদি পশু ও হাসমুরগীর চিকিৎসা দিয়ে আসছি।কিন্তু আমাদের এখান ভেটেরিনারী সার্জন পদটি দীর্ঘদিন ধরে খালি রয়েছে।ভেটেরিনারী সার্জন একমাত্র চিকিৎস তার অনুপস্থিতিতে এ কার্যক্রমকে চালিয়ে নিতে অনেকটা হিমশিম খেতে হয়।পাশাপাশি আমাদের এখানে উপসহকারি কর্মকর্তা ( প্রানী স্বাস্থ্য) কর্মকর্তাও গতমাসে অবসরে গেছেন এবং ড্রেসার পদটিও প্রায় চার বছর ধরে খালি রয়েছে।এপরও দেখা যায় আমাদের এখানে যেসকল প্রানী চিকিৎসার জন্য আনে আমি সহ এখানে যারা আছে সার্বক্ষণিক চিকিৎসা দিলেও কর্যক্রমটি পরিচালনার জন্য ভেটেরিনারী সার্জন পদটি গুরুত্বপূর্ণ পদ।অতি তাড়াতারি যদি পদগুলো পুরুন করা হয় তাহলে আমরা মনে হয় প্রানীগুলোকে ভালোভাবে সেবা দিতে সক্ষম হবো”
এ ব্যাপারে মাদারীপুর জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা একেএম আনোয়ারুল হক জানান, “প্রাণী সম্পদ বিভাগের ভেটেনারী সার্জনের পদটি মুলতঃ বিসিএস ক্যাডার সার্ভিসের পদ। অনেকদিন ধরেই পদগুলো খালি রয়েছে।ইতমধ্য আমি কয়েকবারই চাহিদা দিয়েছি। তারপরও বিষয়টি নিয়ে আমি উর্ধতন কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে সমাধানের চেষ্টা করবো”