সিনিয়র ষ্টাফ করেসপন্ডেন্টঃ
মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা অনিরুদ্ধ দাশকে ‘ভাই’ বলে সম্বোধন করায় আপত্তি তুলেছেন। ‘ভাই’ না ডেকে তাকে ‘স্যার’ ডাকতে হবে বলে তিনি বলেন। আর তাকে ‘ভাই’ বলে সম্বোধন করার মধ্যে তিনি অভদ্রতা খুঁজে পেয়েছেন। তাছাড়া তার মতো একজন কর্তকর্তা অনেক পরিশ্রম করে ‘এই চেয়ারে’ বসতে হয়েছে বলেও তিনি জানান।
রবিবার (৩০ মে) দুপুরে শিবচর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসে কৃষি বিষয়ক তথ্য জানতে গেলে স্থানীয় এক সাংবাদিক তাকে ‘ভাই’ বলে সম্বোধন করে এই বিব্রতকর অবস্থার মুখোমুখি হন। কৃষি সম্প্রসারন ওই কর্মকর্তা নিজেকে ‘স্যার’ ডেকে কথা বলতে বলেন।
তথ্য সংগ্রহ করতে যাওয়া ওই সাংবাদিক জানান,
রবিবার (৩০ মে) দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে শিবচরে বোরো ধান চাষের আবাদ সম্পর্কে তথ্য আনতে তিনি অফিসে যান। কর্মকর্তার কক্ষে অনুমতি নিয়ে প্রবেশ করে নিজের ভিজিটিং কার্ড দিয়ে ওই কর্মকর্তার কুশল জানতে চান। এসময় তাকে ভাই বলে ডাকলে ক্ষেপে যান তিনি। ওই সময় কৃষি সম্প্রসারন কর্মকর্তা অনিরুদ্ধ বলেন,’
আপনাদের ‘ভাই’ বলে ডাকার রেওয়াজ আর গেলোনা, জানেন, আমাদের এই চেয়ারে বসতে অনেক কষ্ট করতে হয়েছে।’
এরপর ওই সাংবাদিকের সাথে কোন কথা না বলে তাকে বসিয়ে রাখেন। ৭/৮ মিনিট পর ‘কি তথ্য লাগবে’ জানিয়ে অফিস সহকারীর সাথে দেখা করতে বলেন তিনি।
বিব্রতকর পরিস্থিতির শিকার সাংবাদিক আরো বলেন, ‘আমিতো কোন ব্যাক্তিগত কাজে যাইনি। সংবাদ সংগ্রহে তথ্যের জন্য গিয়েছি। তাকে ভাই ডাকায় তথ্য দেয়ার পরিবর্তে তিনি ক্ষোভ ঝাড়লেন আমার উপর।’
শিবচর উপজেলায় কৃষি সম্প্রসারন কর্মকর্তা অনিরুদ্ধ দাশ এর সাথে এ বিষয় ফোনে জানতে চাইলে সে জানায়, ‘স্যার বলা একটি ভদ্রতা। ভদ্রতা না করলে তাকে কি বলে, বলেন? তাছাড়া তার কাজ তো করে দিয়েছি। এটা নিয়ে আবার কি হলো?’
‘ভাই’ বলা কি ভদ্রতা নয়? জানতে চাইলে তিনি ফোন রেখে দেন।’
মাদারীপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. মোয়াজ্জেম হোসেন জানান, আর এটা বলার কথা না। যাই হোক কিছু মনে করবেন না, আমি তাকে বলে দেবো। ভবিষ্যতে যেন এটা না করে। যাই হোক আমি বিষয়টি দেখছি।’ অল্প বয়স হলে যা হয় আর কি।’
Leave a Reply