আবু সালেহ রওসাদ,স্টাফ করেসপন্ডেন্টঃ
মাদারীপুরের শিবচর উপজেলাটি পদ্মা নদী বেষ্টিত ও প্রায় ৪ টি ইউনিয়ন নদীর তীরবর্তী হওয়ার কারনে প্রায় অর্ধশত গ্রাম পদ্মা নদীর বিভিন্ন চরে অবস্থিত।আর দূর্গম চরাঞ্চল জুড়ে হাজার হাজার মানুষের বসবাস। শিবচরের চরজানাজাত ও বন্দরখোলা ইউনিয়ন পদ্মানদীর তীরে অবস্থিত। দুটি ইউনিয়নে প্রায় ১০ হাজার পরিবার বসবাস করেন। এখানকার অধিকাংশ মানুষ পেশায় কৃষক ও জেলে । অধিকাংশ বাড়িতেই গবাদি পশু লালন করা হয়। প্রতিবছর বন্যায় ডুবে যায় এ অঞ্চলের সব ঘর বাড়ি।জীবনের সাথে সংগ্রাম করে চলতে হয় এ অঞ্চলের মানুষের।
এ দুটি ইউনিয়ন দুর্গম চরাঞ্চল হওয়ায় পুলিশ প্রশাসনের যাতায়াত কম হয়, তাই বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ডও হচ্ছে। প্রতিবছরই বিভিন্ন সময়ে প্রচুর পরিমানে ডাকাতের আতংক থাকে, ঘটে ডাকাতির ঘটনাও।
কিন্তু করোনা ভাইরাস আতংকে যখন সারাদেশে বিরাজমান, সবাই যখন যার যার ঘরে অবস্থান করছে, তখনই ডাকাতের আতংকে রাত কাটাচ্ছে চরাঞ্চলের তিন ইউনিয়নসহ অন্যান্ন এলাকার মানুষের মাঝে।
গতকাল (২০ এপ্রিল) রাত ২ টার দিকে ডাকাতের আতংকে পদ্মাপাড়ে নির্ঘুম রাত কাটিয়েছেন হাজারও মানুষ। বিভিন্ন মসজিদের মাইকে ঘোষনা করা হয় সতর্ক হওয়ার জন্য এবং সতর্ক অবস্থান নেওয়ার জন্য।
এ ব্যাপারে স্থানীয় সাইদুর রহমান বলেন, ‘গতরাতে আমরা শুনতে পাই ডাকাত এসেছে, তখন আমরা সবাইকে সতর্ক করি, এবং সতর্ক অবস্থান নেই। এ সময় আমরা পদ্মায় কয়েকটি স্পিডবোট ও ট্রলারের আওয়াজ পাই।এই নিয়ে আমরা আতংকে আছি’
এদিকে মঙ্গলবার (২১ এপ্রিল) রাত ৯ টার দিকে শিবচরের নিলখী ইউনিয়নের কলাতলা নদীর পাড়ে ডাকাতেরা ট্রলারযোগে সংঘবদ্ধ ১৫/২০ জন ডাকাত দল প্রস্তুতি নিচ্ছিল। বিষয়টি স্থানীয়রা টের পেয়ে মসজিদের মাইকের মাধ্যমে এলাকাবাসীকে সতর্ক করে। পরে এলাকাবাসী এক হয়ে ডাকাতদলকে ধাওয়া করলে ডাকাতদল পিছু হটে এবং দ্রুত ট্রলার চালিয়ে ঘটনা স্থল থেকে চলে যায়।
এ ব্যাপারে সহকারী পুলিশ সুপার (শিবচর সার্কেল) মোঃ আবির হোসেন বলেন, ‘আমরা জানতে পেরেছি গত রাতে এমন একটা সংবাদ লৌহজং হতে শিবচরের চরাঞ্চলে এমনটা হয়েছে।বর্তমান পরিস্থিতিতে এসব ঘটনা খুবই দুখঃজনক, আমরা স্থানীয় চেয়ারম্যান ও জনপ্রতিনিধিদের সাথে কথা বলে সমন্বয় করে সেচ্ছাসেবকদের সাথে নিয়ে রাত্রীকালীন টহলের ব্যবস্থা নিবো’
অন্যায় ও দূর্নীতির বিরুদ্ধে শিবচরনিউজ২৪.কমকে খবর দিয়ে সেবা নিন।
Leave a Reply