কাঠালবাড়ি ব্যুরোঃ
বাংলাবাজার ও শিমুলিয়া নৌরুটে শিমুলিয়া থেকে বাংলাবাজার ঘাটের উদ্দেশ্য ছেড়ে আসা শাহ্ পরান ও ও এনায়েতপুরী ফেরিতে নিহত পাঁচজনের পরিচয় পাওয়া গেছে।
বৃহস্পতিবার (১৩ মে) সকাল পর্যন্ত এ হস্তান্তর শেষ হয়।এ ঘটনায় ফেরিতে পড়ে থাকা নিহত ও আহতদের মোবাইলসহ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করেছে শিবচর থানা পুলিশ।
জানা যায়, গতকাল (বুধবার ১২ মে) বেলা ১১ টার দিকে শিমুলিয়া থেকে ছেড়ে আসা ফেরি শাহপরানে আনছার মাদবর (১৫) নামের এক কিশোর মারা যায়। তার বাড়ি শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার কালিকাপ্রসাদ (মল্লিক বাড়ির ঢোন) গ্রামে বলে জানা যায়।গতকাল দুপুরেই তার স্বজনরা তার মরদেহটি সনাক্ত করে বাড়ি নিয়ে যায়।
অন্যদিকে একই ঘাট থেকে দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে ছেড়ে এনায়েতপুরি ফেরিতে নিহত দুইজনের মরদেহ গতকাল বিকেলেই সনাক্ত হয়।তার হলেন-বরিশালের মুলাদি উপজেলার ইসমাইল আকন্দের ছেলে নুরুদ্দিন মাদবর (৪০), ) এবং মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার গোপালপুর গ্রামের আল আমিনের স্ত্রী নিপা আক্তার (৩৫)।তবে এই ফেরী বাকি মরদেহ দুটি আজ তাদের আত্মীয় স্বজনদের কাছে বুঝে দেওয়া হয়।তাদের একজনের বাড়ি গোপালগঞ্জের কাশিয়ানি উপজেলার পদ্মবিলা গ্রামে।সে ওই এলাকার মজিবুর রহমান শেখের মেয়ে পোশাকশ্রমিক শিল্পী আক্কার (৩০), এছাড়া অন্য একজন পিরোজপুরের নেছারাবাদ উপজেলার আরামকাঠি গ্রামের আবদুল জব্বার মিয়ার ছেলে শরীফুল ইসলাম (২৭
শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মিরাজ হোসেন জানান, বুধবারে ফেরিতে মানুষের ভিড় ও অতিরিক্ত গরমে দুইটি ফেরীতে ৫ জন যাত্রী নিহত হয়।এসময় আহত হয় ৮ জন।নিহত ও আহতের পরিচয় পাওয়া গেছে। নিহত সকলের লাশ ফেরিতে তাদের পড়ে থাকা প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
বুধবার (১২ মে) শিমুলিয়া থেকে বাংলাবাজার যাওয়ার পথে শাহ পরান ও এনায়েতপুরী নামের দুইটি ফেরিতে এই দুর্ঘটনা ঘটে। এরমধ্যে শাহ পরানে একজন ও এনায়েতপুরীতে চারজন মারা যান।
Leave a Reply