শিবচরনিউজ২৪.কম ডেস্কঃ
শিবচরের বন্দরখোলা ইউনিয়ন পরিষদ ভবনটি পদ্মা ভাঙনে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। রবিবার (২০ সেপ্টেম্বর) দিবাগত মধ্যরাতে ভবনটির অর্ধেক নদীগর্ভে চলে যায়। বাকী অর্ধেক ভাঙনের মুখে রয়েছে। এছাড়া ইউনিয়ন পরিষদ ভবনটির পাশের একটি কমিউনিটি ক্লিনিকও নদী ভাঙনের মুখে পরেছে। এর আগে ওই এলাকার একটি তিনতলা বিশিষ্ট মাধ্যমিক বিদ্যালয়, একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এছাড়াও ভাঙনের মুখে রয়েছে ইউনিয়নটির কাজীরসুরা বাজার।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়,
২০১২ সালে ৬১ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই ইউনিয়ন পরিষদের দোতলা ভবনের দুটি পিলার নদীগর্ভে এরইমধ্যে বিলীন হয়ে গেছে। যে কোনো সময় পুরো ভবনটি নদীতে বিলীন হয়ে যেতে পারে।যদিও ভবনটি কয়েক বছর আগেও নদী থেকে প্রায় ৭ কিলোমিটার দূরে ছিল।
জানা গেছে, শিবচর উপজেলার বন্দরখোলা ইউনিয়নের পদ্মা নদী সংলগ্ন কাজীরসুরা এলাকা। বহুনবছর আগে গড়ে উঠা বিস্তৃর্ণ এ জনপদে গত কয়েক বছর ধরে পদ্মার ভাঙন তীব্রতর হয়েছে। বর্ষা মৌসুমের শুরু এবং শেষের দিকে এসে ভাঙন ভয়াবহ আকার ধারন করতে থাকে। এ বছর বর্ষা মৌসুমের শুরুতেই নদী ভাঙন শুরু হলে ভিটেমাটি হারা হয় অসংখ্য পরিবার। নদী ভাঙনের ফলে বসতভিটা হারিয়ে ভূমিহীন হয়ে পরেছে কাজীরসূরা ও সংলগ্ন এলাকার সাধারন মানুষ। এছাড়াও একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় কাম আশ্রয়কেন্দ্র, মসজিদ, কমিউনিটি ক্লিনিক পদ্মার ভাঙনে বিলীন হয়ে গেছে। জিও ব্যাগ ফেলে পানি উন্নয়নবোর্ড ভাঙন ঠেকানোর চেষ্টা করলেও স্রোতের তীব্রতার কারনে সেই প্রচেষ্টা সফল হয়নি।
স্থানীয়দের সাথে আলাপ করলে তারা জানান, চলতি বছর বন্যায় বন্দরখোলা ইউনিয়নের কাজিরসুরা এলাকায় ব্যপক ভাঙন দেখা দিয়েছে। বসতবাড়ি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পুরোপুরি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। কাজিরসূরা বাজারের অর্ধ শতাধিক দোকানপাট বর্তমানে হুমকির মুখে রয়েছে।’
বন্দরখোলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো.নিজাম বেপারী বলেন,’গত রাতে ইউনিয়ন পরিষদ ভবনটির অর্ধেক নদীতে পরে গেছে। পদ্মার ভাঙনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ নানা স্থাপনা, বসতবাড়ি বিলীন হয়ে গেছে। নদী ভাঙনের শিকার মানুষের কষ্টের শেষ নাই।’
Leave a Reply