স্বাস্থ বাতায়নঃশিবচরনিউজ২৪.কম
করোনা ভাইরাসের বিস্তার/সংক্রমণ ঘটে যেসকল মাধ্যমে সেগুলো আমরা ডিজিটাল পদ্ধতিতে ইতোমধ্যে সবাই জেনেছি।সেই জানা ব্যাপারগুলোই বার বার রিভিউ করে আমরা ঘাতক ভাইরাসটি দ্বারা আক্রান্ত হওয়া থেকে রক্ষা পেতে পারি।উল্লেখযোগ্য মাধ্যমগুলো-
১।আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসা-ভাইরাসটি তুলনামূলকভাবে অন্যান্য রেসপিরেটরী(শ্বাসতন্ত্র) ভাইরাসের চেয়ে কিছুটা ভারী হওয়ায় বাতাসে বেশিক্ষন থাকতে না পেরে সমতল/অবতলে স্থায়ী হয়ে যায় ফলে চরম ছোঁয়াচে হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।মূলত করোনা ভাইরাস একটি শ্বাসতন্ত্র সংক্রামক RNA ভাইরাস।ভারী হওয়ার কারণে এটা মারাত্মক ছোঁয়াচে হয়েছে।আক্রান্ত বা সন্দেহভাজন ব্যক্তির সংস্পর্শ থেকে বিরত থাকলে ভাইরাসটি দ্বারা আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা কমে যায়।
২।সরাসরি শাসতন্ত্রে ভাইরাস প্রবেশ-আক্রান্ত পরিবেশে বা এপিডেমিক এরিয়ায় বায়ুতে ভাসমান ভাইরাস সরাসরি আমাদের নিশ্বাস দিয়ে ফসফুসে ঢুকে যেতে পারে।এ ক্ষেত্রে আমাদের সঠিক মাস্ক ব্যাবহার সংক্রমণের ঝুকি অনেকাংশে কমাতে পারে।
৩।মাইক্রোড্রপলেটস্ ইনহেলেশন-হাঁচিকাশি থেকে তৈরি হয়।এটাও মাস্ক ব্যাবহার করে প্রতিরোধ সম্ভব।নাক ও মুখ গহবর দিয়ে আমরা যেহেতু শ্বাস-প্রশ্বাস নেই তাই মাস্ক পরেই শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণ ঠেকানো যায় শতকরা ৬০ থেকে ৭০ভাগ।
সাধারনত হাঁচি-কাশি দেয়ার সময় থুথুর মত ছোট ছোট,অর্ধ-জলীয়ও পদার্থ নাক ও মুখ দিয়ে নির্গমন হয় যার কিছু অংশ আমরা দেখতে পাই,বাকি অংশ অতিক্ষুদ্র কণায় রুপান্তরিত হয়ে থাকায় মাইক্রোস্কোপ ছাড়া দেখা যায় না-সেটাই মাইক্রোড্রপলেটস্।এর মধ্যেই জীবানু থাকে ভাসমান অবস্থায়।আক্রান্ত ও সুস্থ্য উভয় ব্যক্তি মাস্ক পড়া থাকলে ভাইরাস বিস্তারের হার অনেক কম।দুইজনের মধ্যে যেকোন একজনও যদি মাস্ক ব্যবহার করে তাহলেও ঝুকি কমে।
উপরোক্ত উপায়ে ভাইরাসটি যেকারো শরীরের খোলা অংশে যেমন হাত,মুখমন্ডল এবং গায়ের জামা-কাপড় ইত্যাদিতে লেগে থাকতে পারে।স্বাভাবিক পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা ও হাইজেনিসিটি মেনটেইন করলে সংক্রমণের হার কমে যায়।
উল্লেখিত বিষয়ের উপর নির্ভর করেই সামাজিক ও শারীরিক দুরত্ব বজায় রাখার কৌশল নেয়া হয়েছে।
হাঁচি-কাশি প্রতিরোধে খাদ্যাভ্যাসের ভূমিকাও রয়েছে অনেক।খাওয়া-দাওয়ার পরে ভালো করে মুখ গহবর কুলকুচি করা,খুব বেশি ঠান্ডা পানি না খাওয়া,খাবার উত্তমভাবে সেদ্ধ করা ইত্যাদি।হাঁচি-কিশি দেয়ার নিয়মাবলী মেনে চলুন।সুস্থ্য থাকুন।
(পর্ব-2 শেষ)
লেখকঃ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ওমর ফারুক লপ্তী,
ডিপিএম,আইপিএইচ্এন,স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, ঢাকা।মেম্বার, সমন্বিত কোভিড-১৯ সেন্ট্রাল কন্ট্রোল রুম।
Leave a Reply