শিবচরনিউজ২৪.কম ডেস্কঃ
বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারির প্রভাবে দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো সরকারের নির্দেশে গত ১৭ মার্চ থেকে বন্ধ রয়েছে।দক্ষিনবঙ্গের সর্ববৃহৎ বিদ্যাপীঠ সরকারী রাজেন্দ্র কলেজসহ বন্ধ রয়েছে ফরিদপুরের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান । তবে বন্ধ সময়ে যে শিক্ষার্থীরা মেসে বা ভাড়ার বাসায় থাকতেন তাদের অনেকেই ভাড়া নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন।
রবিবার (৩ মে) রাজেন্দ্র কলেজের একাধিক শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলে এমনই দুশ্চিন্তার কথা জানা গেছে। শিক্ষার্থীরা বলছেন, এই পরিস্থিতিতে পরিবারের পক্ষ থেকে মেসের ভাড়া দেওয়া কঠিন। আর যারা টিউশনি করে চলতেন কিন্তু এখন অনেকেই মেস ছেড়ে বাড়িতে বসে আছে।তারা কীভাবে মেস ভাড়া দিবো এ প্রশ্নও অনেকের।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সরকারী রাজেন্দ্র বিশ্ববিশ্ববিদ্যালয় কলেজের প্রায় ৩৬ হাজার শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত এবং এদের অধিকাংশ শিক্ষার্থীর আবাসন সুবিধা না থাকায় আশপাশের এলাকায় মেসে থাকেন। কেউ কেউ বাসা বাড়ির রুম ভাড়া নিয়েও থাকেন। কিন্তু করোনা ভাইরাসের এই পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ বাসায় অবস্থান করছেন। এছাড়া বিশেষ কিছু প্রয়োজনে কিছু শিক্ষার্থী ফরিদপুরে আছেন। তবে শিক্ষার্থীরা বাসায় অবস্থান করেও মেস ভাড়া নিয়ে দুশ্চিন্তা করছেন। কেননা মেস মালিক কিংবা বাসার মালিক ফোন করে ও খুদে বার্তা পাঠিয়ে ভাড়া পরিশোধের কথা বলছেন। যা অনেক শিক্ষার্থীর পক্ষে পরিশোধ করা কঠিন হয়ে পড়েছে!
এছাড়াও অনেক শিক্ষার্থীরা পারিবারিক অস্বচ্ছলতার কারণে টিউশনি করে চলতেন তারাও বিপাকে পড়েছেন। যদিও এই করোনা পরিস্থিতি কবে নাগাদ স্বাভাবিক হবে তা অনিশ্চিত।
এদিকে সরকারী রাজেন্দ্র কলেজের অনেক শিক্ষার্থী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন। সেখানে অনেকেই মন্তব্য করেছেন,যদি মেস মালিক বা বাড়ির মালিক তাদে ‘ভাড়া মওকুফ করা হলে সবাই উপকৃত হবে।’ আবার অনেকেই লিখছেন পুরোটা মওকুফ করা না গেলেও যতটুকু কমানো যায় করা উচিত কেননা এ সময়ে সবার কল্যাণে সবাইকে ত্যাগ করতে হবে।’
বোয়ালমারী থেকে আগত কলেজের এক শিক্ষার্থী বলেন, আমি কৃষক পরিবারের সন্তান। উৎপাদিত ফসলের টাকায় চলি। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে মেস মালিক যোগাযোগ করেছেন ভাড়া প্রদানের জন্য যা দুশ্চিন্তার বিষয়।
বালিয়াকান্দি থেকে আগত শহরের পূর্ব খাবাসপুরে মেসে বসবাসকারি কলেজের অর্থনীতি বিভাগের এক শিক্ষার্থী বলেন, আমার বাবা কৃষক।আমরা দুই ভাই-বোন খুব কষ্ট করে পড়াশুনা আমি টিউশনি করে নিজের খরচ বহন করতাম। আর মেসে থেকেই পড়াশোনা করছি। তবে এখন মেস মালিক জানিয়েছেন ভাড়া দিতে কিন্তু কীভাবে ভাড়া দিবো সেটাই বুঝছি না।
গনিত বিভাগের মাষ্টার্স এর এক নারী শিক্ষার্থী বলেন, আমি চলতি মাসেই মেস ছেড়ে দিতে মেস মালিককে ফোন দিয়েছিলাম।কাম্পাস সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বন্ধ অথচ মেস মালিক বললেন মেস ছাড়া যাবেনা।
সরকারী রাজেন্দ্র কলেজ ছাত্র ছাত্রী সংসদের ভিপি নুর হোসেন মারুফ শিবচরনিউজ২৪ কে বলেন,আমরা সব সময় অসহায়, মেধাবী ও সাধারন শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনায় রাখি।আমরা ইতমধ্য রুকসুর তহবিল থেকে অসহায় ছাত্র ছা্ত্রীদের সহযোগিতা করার ঘোষনা দিয়েছি।এছাড়াও যাদের আর্থিক সমস্যা আছে আমাদের সাথে যোগাযোগ করলে মেস/ বাসার মালিকের সাথে সমন্বয় করে বিষয়টি দেখবো।
Leave a Reply