মাদারীপুর প্রতিনিধি:
সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী ও মাদারীপুর-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য, শিক্ষা অনুরাগী সৈয়দ আবুল হোসেন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি…রাজিউন)।
মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) দিনগত রাত ২ টা ৫ মিনিটে রাজধানীর ইউনাইটেড
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭২ বছর।
বুধবার সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেন
তার ভাগনে ও ডাসার উপজেলা আওয়ামীলীগের আহবায়ক সৈয়দ সাখাওয়াত হোসেন।
তিনি জানান,সৈয়দ আবুল হোসেন তিনি মাদারীপুর জেলার ডাসার উপজেলার দক্ষিণ ডাসার বেতবাড়ি গ্রামের সৈয়দ আতাহার আলীর ছেলে। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী খাজা নার্গিস,দুই মেয়ে, সৈয়দা রুবাইয়াত হোসেন এবং সৈয়দা ইফফাত হোসেন রেখে গেছেন।তার মৃত্যুতে ডাসারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।।তার মামার মরদেহ আপাতত হিমাগারে রাখা হবে। এক মেয়ে দেশের বাইরে আছেন।তিনি দেশে আসার পর লাশ দাফন করা হবে।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, সৈয়দ আবুল হোসেন ১৯৫১ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি পেশায় একজন রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ী। আবুল হোসেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের হয়ে মাদারীপুর-৩ আসন থেকে ১৯৯১ সালে পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর তিনি সপ্তম, অষ্টম ও নবম সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।১৯৯৬ সালে আওয়ামীলীগ সরকারের এলজিইডি প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। ২০০৯ থেকে ২০১২ পর্যন্ত আওয়ামী লীগ সরকারের যোগাযোগমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। তিনি অসংখ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নির্মাণ করেছেন। নির্মাণের ফলে তাকে বিদ্যাসাগর নামে প্রতিফলিত হয়েছেন।
উল্লেখ,২০১১ সালের ২৮ এপ্রিল পদ্মা সেতু নির্মাণে বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে ১২০ কোটি ডলারের চুক্তি সই করে সরকার। কিন্তু বছরের শেষ দিকেই তৎকালীন যোগাযোগমন্ত্রী আবুল হোসেনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। পরিস্থিতি এতটাই ঘোলাটে হয়ে যায় যে, ২০১২ সালের ৫ জানুয়ারি যোগাযোগ মন্ত্রীর পদ থেকে সৈয়দ আবুল হোসেন পদত্যাগ করেন। সেতু বিভাগের তৎকালীন সচিব মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়াকেও দায়িত্ব থেকে সরে যেতে হয়। এ সময় তাদেরকে গ্রেফতারের দাবিও ওঠে।
Leave a Reply