মাদারীপুর প্রতিনিধি:
মাদারীপুরে মাথা কেটে অন্যের নামে মামলা দিতে গিয়ে নিজেরাই ফেসে গেলেন। এমন চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে মাদারীপুর সদর উপজেলার শান্তিনগর এলাকায়। বুধবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মাদারীপুর সদর থানার ওসি।
স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে,মাদারীপুর সদর উপজেলার রাস্তি এলাকায় ফুটবল খেলা নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে স্হানীয় শহিদ মোল্লার ছেলে’কে কুপিয়ে আহত করেন পার্শ্ববর্তী এলাকার কিছু বখাটেরা।তারই সুত্র ধরে গত দু’দিনে বেশ কয়েকবার সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।এতে শহিদ মোল্লার ভাগনে শান্তিনগর এলাকার চান্দু হাজির ছেলে অহিদ শহিদ মোল্লার পক্ষ নিয়ে দ্বন্দ্বের নেতৃত্ব দেন। দুপক্ষের দ্বন্দ্বে অহিদ গ্রুপের আকাশ নামে এক কিশোর সামান্য আহত হয়।পরে সোমবার রাতে রাস্তি এলাকার হাকিম বেপারীর বিরুদ্ধে মামলা দিতে শান্তিনগর এলাকার সিরাজ বেপারীর ছেলে আকাশকে নিজেরাই মাথা কেটে হাসপাতালে ভর্তি করেন চান্দু হাজী ও তার ছেলে অহিদ। পরবর্তীতে আকাশের অভিভাবকরা জানতে পারে অহিদসহ কয়েকজন ডাক্তার দিয়ে আকাশের মাথা কেটে মাদারীপুর সদর হাসপাতালের ভর্তি করে এবং হাকিম বেপারীর বিরুদ্ধে মামলা দিতে আকাশের মাকে নির্দেশ দেয়। কিন্তু আকাশের মা সামসুন্নাহার বেগম হাকিম বেপারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ না দিয়ে উল্টো অহিদসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে মঙ্গলবার
থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
ভুক্তভোগী কিশোর আকাশ জানান, আমাকে ভয় ভীতি দেখিয়ে ক্লাবে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে ডাক্তার ডেকে অবশ করার ইনজেকশন দিয়ে আমাকে অবশ করে আমার মাথা কেটে এরপর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
ভুক্তভোগী কিশোর আকাশের মা সামসুন্নাহার বেগম বলেন, যারা মামলা দেয়ার জন্য আমার ছেলের মাথা কাটতে পারে তারা তো আমার ছেলেকে হত্যা করেও মামলা দিতে পারে। তাই আমি উল্টো ওদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েছি। আমি এর বিচার চাই।
অভিযুক্ত অহিদ বলেন, এই ঘটনার সাথে আমি জড়িত নই। এটি ষড়যন্ত্র মূলক ও মিথ্যা। হাকিম বেপারী বলেন,
আমি এই ঘটনার সাথে জড়িত না তবুও আমাকে ফাঁসাতে গিয়ে একটি ছেলের মাথা কেটে হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে সত্য উদঘাটিত হলে এখন উল্টো ওদের বিরুদ্ধেই অভিযোগ দেয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে মাদারীপুর সদর থানার ওসি সালাউদ্দিন আহমেদ বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Leave a Reply