মাদারীপুর প্রতিনিধি :
মাদারীপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার নামে হয়রানির অভিযোগে অনির্দিষ্টকালের জন্য ওষুধের দোকান বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
সোমবার সন্ধ্যায় শহরের কলেজ রোড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্র জানায়, আজ বিকেলে শহরের কলেজ রোড এলাকার সিনহা ফার্মেসীতে গ্রাম্য ডাক্তার ও সত্ত্বাধিকারী আলী আজম সরদার বিভিন্ন জটিল রোগের চিকিৎসা দিচ্ছে এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে সেখানে অভিযানে যান জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক মানোয়ার হোসেন। এ সময় প্রতিষ্ঠানের সত্ত্বাধিকারী আলী আজম সরদার অনুপস্থিত থাকেন। পরে ফার্মেসীটি সীলগালা করে দেয় ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক। এরই প্রতিবাদে শহরের সব ওষুদের দোকান বন্ধ করে বিক্ষোভ করে ব্যবসায়ীরা। কলেজ রোড থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি সড়ক প্রদক্ষিন করে একই স্থানে গিয়ে শেষ হয়। এ সময় তারা, ভ্রাম্যমাণ আদালতে অংশ নেয়া নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের অপহরণ দাবী করেন। পাশাপাশি বার বার ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়ে ওষুধ ব্যবসায়ীদের জরিমানা ও হয়রানি বন্ধের দাবী জানান।
জেলার এক ওষুধ ব্যবসায়ী বলেন, ‘আমরা তো অবৈধ ব্যবসা করি না। আমরা ট্যাক্স দেই। আমরা সবাই মিলে দোকানপাট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এখন প্রশাসন যদি আমাদের সঙ্গে বসে একটা সুষ্ঠ সমাধান করে তাহলেই আমরা আবার ব্যবসা শুরু করব।’
বাংলাদেশ কেমিস্ট এন্ড ড্রাগিস্ট সমিতির মাদারীপুর শাখার সাধারণ সম্পাদক সাকিব হাসান অভিযোগ করে বলেন, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনের নামে বার বার ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়ে ওষুধ ব্যবসায়ীদের জরিমানা ও হয়রানি করছে। এ অভিযান বন্ধ করা না হলে, অনির্দিষ্টকালের জন্য ওষুধের দোকান বন্ধ রাখা হবে বলেও জানান তিনি। দোকান বন্ধ থাকায় জরুরি ওষুধ কিনতে না পেরে চরম বিপাকে পড়েন রোগীর স্বজনরা।
এদিকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক মানোয়ার হোসেন জানান, সিভিল সার্জণ অফিস থেকে প্রাপ্ত অভিযোগের প্রেক্ষিতে অভিযান পরিচালনা করা হয়। প্রতিষ্ঠানের সত্ত্বাধিকারী আলী আজম সরদার না থাকায় ফার্মেসীটি সীলগালা করে দোকানের চাবি বনিক সমিতির কাছে হস্তান্তর করা হয়।
Leave a Reply