কাঠালবাড়ি ব্যুরোঃ
মাদারীপুরের শিবচরে পদ্মা নদীতে স্পিডবোট দুর্ঘটনায় ২৬ জনের মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের করা মামলার প্রধান আসামি স্পিডবোটচালক শাহ আলম মিয়াকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছে আদালত।
সোমবার (১৭ মে) দুপুরে তাকে মাদারীপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাইদুর রহমানের আদালতে হাজির করা হলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।
আটক শাহ আলম মিয়া নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানার ভাতা ঈদগাহপুর এলাকার আবুল কালামের ছেলে।
এদিকে গতকালরবিবার (১৬ মে) বিকেলে ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসা শেষে ছাড়পত্র নেবার পর রাতে নৌপুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। পরে রাতেই শিবচর থানায় তাকে সোপর্দ করেছে।আজ সোমবার তাকে মাদারীপুর আদালতে তোলা হয়।
শিবচর থানা সুত্র জানায়, স্পিডবোট দূর্ঘটনার পর গুরুতর আহত হন চালক শাহআলম। ডোপটেস্টের মাধ্যমে তার মাদক গ্রহনের বিষয়টি স্পষ্ট হলে দূর্ঘটনার পেছনে মাদকাসক্ততার সম্পৃক্ততা মেলে।ওই সময় গুরুতর আহত চালককে উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রথমে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। এরপরে অবস্থার অবনতি ঘটলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। প্রায় ১৩ দিন চিকিৎসা শেষে সুস্থ্য হলে গত রবিবার তাকে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেন চিকিৎসক।
মামলার বিবরন সুত্রে জানা যায়,গত ৩ মে সকালে ঘাটে নোঙর করে রাখা বালুবোঝাই বাল্কহেডের সঙ্গে শিমুলিয়া থেকে ছেড়ে আসা একটি দ্রুতগতির স্পিডবোটের সংঘর্ষ হয়। এতে স্পিডবোটটি ডুবে যায়। পরে বোটে থাকা ২৬ জন নিহত হয়।এছাড়া চালকসহ ৫ জন আহত হয়।দুর্ঘটনার পর থেকে স্পিডবোটচালক শাহ আলম মিয়া গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। রোববার (১৬ মে) বিকেলে তাকে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দিলে নৌপুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। রাত ৮টার দিকে গ্রেফতার শাহ আলমকে শিবচর থানায় হস্তান্তর করা হয়।
মাদারীপুর কোর্ট পুলিশের ইন্সপেক্টর রমেশ চন্দ্র দাস বলেন, স্পিডবোট দুর্ঘটনার মামলায় চালক শহ আলমকে সোমবার দুপুর আড়াইটার দিকে মাদারীপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাইদুর রহমানের আদালতে হাজির করা হয়। আসামি অসুস্থ থাকায় তাকে কারাগারে রেখে চিকিৎসার আদেশ দেন আদালত।
এর আগে স্পিডবোটের মালিক চান্দু মিয়াকে ঢাকা থেকে গ্রেফতার করে র্যাব। মামলার পর এখন পর্যন্ত দুই আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।বাকি দুই আসামি এখনো পলাতক রয়েছে।
Leave a Reply