শিবচর প্রতিনিধিঃ
মাদারীপুরের শিবচরে মা ইলিশ সংরক্ষনে ইলিশ শিকার বন্ধের ২২ দিনে পদ্মানদী থেকে আটককৃত জেলেদের মধ্যে ২শত ৮৭ জনকে এক বছরসহ বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমান আদালত। এ সময় জরিমানা আদায় করা হয়েছে ১ লক্ষ ২৮ হাজার ৫ শত টাকা।
নিষেধাজ্ঞা শেষে গত সোমবার(২৫ অক্টোবর) রাত ১২ টার পরে স্বাভাবিক ভাবে ইলিশ ধরতে পদ্মায় নামে জেলেরা।
উপজেলার জেষ্ঠ মৎস্য অফিসারের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ইলিশ শিকার বন্ধে শিবচরের পদ্মানদীর বিভিন্ন স্থানে গত ২২ দিন প্রায় ২৪ ঘন্টাই অভিযান চালায় প্রশাসন। ২২ দিনে মোট ৫৬ টি অভিযানে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালিত হয় ৩৪ টি এবং মামলা দায়ের করা হয় ৮৮ টি। এসময় ৩ দিন থেকে ১ বছর পর্যন্ত সাজা দেয়া হয় ২৮৭ জনকে। অভিযানের সময় কারেন্ট জাল ধ্বংস করা হয় ১৮.২২৯ লক্ষ মিটার। যার মূল্য ৩ কোটি ৭৯ লক্ষ ২৪ হাজার টাকা।এছাড়াও ইলিশ জব্দ করা হয় ৪০৬ কেজি, যা স্থানীয় এতিম খানায় বিতরণ করা হয়। অভিযানের সময় পদ্মানদীর চরাঞ্চলে ইলিশ বিক্রির অবৈধ ১৫০ টি অস্থায়ী স্থাপনা এবং গোপনে ধরা ইলিশ রাখার তিনটি আস্তানা উচ্ছেদ করে প্রশাসন। জব্দ করা হয় ৬ টি মাছ ধরার ট্রলার।
উপজেলা সিনিয়র মৎস কর্মকর্তা ফেরদৌস ইবনে রহিম জানান, নিয়মিত অভিযানে জেলা ও উপজেলা প্রশাসন, জেলা ও উপজেলা মৎস দপ্তর, উপজেলা পরিষদ,জেলা পুলিশ, র্যাব ৮, শিবচর থানা পুলিশ, নৌপুলিশ, কোস্ট গার্ড ও গ্রাম পুলিশ সদস্যরা বিভিন্ন সময়ে অংশ নিয়েছেন।
শিবচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.আসাদুজ্জামান জানান,’আমরা মা ইলিশ রক্ষায় পদ্মানদীতে সর্বাত্মক ভাবে অভিযান পরিচালনা করেছি। জেলেদের নিষিদ্ধ সময়ে মাছ ধরতে বারণ করার পাশাপাশি সচেতনতা বৃদ্ধিতে কাজ করেছি। এর পরও কিছু অসাধু জেলেরা পদ্মায় মাছ শিকারে বের হয়েছিল তাদের আইনের আওতায় আনা হয়েছে।’
মাদারীপুর জেলা প্রশাসক ড.রহিমা খাতুন বলেন,”ইলিশ ধরা বন্ধের পর থেকেই আমাদের প্রশাসন কঠোর ছিলো।যারা সরকারের আদেশ অমান্য করেছে তাদের আমরা আইনের আওতায় এনেছি।”