আবু মুছা রওসাদ, সিঃ স্টাফ করেসপন্ডেন্টঃ
শিবচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আসাদুজ্জামান বলেন, মা ইলিশ রক্ষা কার্যক্রম বাস্তবায়ন করার জন্য কঠোর অবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ উপজেলা প্রশাসন। শুধু নদীতে নয়, স্থলভাগেও যাতে কেউ মাছ বিক্রি করতে না পারেন সে জন্য নজরদারি রাখা হবে।তাছাড়া শুধু জেলে নয়, মা ইলিশ রক্ষা বাস্তবায়ন করতে আমাদের সকলের আরও বেশি সচেতন হতে হবে। সরকার ঘোষিত এই নির্দেশনা যদি আমরা মেনে চলি তাহলে এর সুফল আমরা নিজেরাই ভোগ করব। নদীতে মাছ ধরা অবস্থায় জেলে আটক হলে জনপ্রতিনিধি যাতে তার পক্ষে সুপারিশ করতে না আসেন।
ইলিশ শিকারে ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা কার্যকরে অভিযান শুরু করেছে প্রশাসন।
সোমবার দুপুর ১২টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪ টা পর্যন্ত কাঠালবাড়ি, চরজানাযাত, বন্দখোলা ইউনিয়নের আড়িয়াল খাঁ ও পদ্মা নদীতে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।
শিবচরে মা ইলিশ সংরক্ষণে অভিযানে সমন্নিত্ব দায়িত্ব পাওয়া জয়পুরহাট সদর উপজেলার মৎস্য সংরক্ষন কর্মকর্তা আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েদ শাহরিয়ারের নেতৃত্বে কাঠালবাড়ি ঘাট নৌ ফাঁড়ির পুলিশ ও উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয়ের একটি দল অভিযান পরিচালনা করে ৬ হাজার মিটার অবৈধ কারেন্ট জাল জব্দ করেন।পরে উপস্থিত লোকজনের সামনে জব্দকৃত জাল পুড়িয়ে ফেলা হয়।
জানা যায়, ৩ অক্টোবর মধ্যরাত থেকে দেশের নদ-নদী ও বঙ্গোপসাগরে ইলিশ ধরায় ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শুরু হয়েছে। ইলিশ আহরণ নিষিদ্ধ মৌসুমে কেউ মাছ আহরণে নদীতে নামলে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এসময় আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েদ শাহরিয়ারে বলেন, নিষেধাজ্ঞার ২২ দিন নদীতে কোনোভাবেই জেলেদের নামতে দেয়া হবে না। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কঠোর অবস্থানে থাকবে। যদি কেউ এই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করেন তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
প্রাকৃতিক সম্পদ ইলিশ রক্ষায় শুধু জেলে নয়, সবাইকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
শিবচর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা ফেরদৌস ইবনে রহিম
বলেন, ‘একটি মা ইলিশ রক্ষা করা মানে ১২ থেকে ১৩ লাখ ইলিশ মাছ রক্ষা করা। তাই এই মুহূর্তে যদি আমরা একটু সচেতন হই এবং মা ইলিশ নিধন না করি তাহলে আগামীতে এর সুফল আমরা পাব এবং ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ ঘাটে আসবে। সে ক্ষেত্রে ইলিশের দাম অনেক কমে যেতে পারে। আর দাম কমলে আমরা সবাই মিলেমিশে ইলিশ খেতে পারব।’
শিবচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আসাদুজ্জামান বলেন, মা ইলিশ রক্ষা কার্যক্রম বাস্তবায়ন করার জন্য কঠোর অবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ উপজেলা প্রশাসন। শুধু নদীতে নয়, স্থলভাগেও যাতে কেউ মাছ বিক্রি করতে না পারেন সে জন্য নজরদারি রাখা হবে।
তাছাড়া শুধু জেলে নয়, মা ইলিশ রক্ষা বাস্তবায়ন করতে আমাদের সকলের আরও বেশি সচেতন হতে হবে। সরকার ঘোষিত এই নির্দেশনা যদি আমরা মেনে চলি তাহলে এর সুফল আমরা নিজেরাই ভোগ করব। নদীতে মাছ ধরা অবস্থায় জেলে আটক হলে জনপ্রতিনিধি যাতে তার পক্ষে সুপারিশ করতে না আসেন।