শিবচর (মাদারীপুর) প্রতিনিধি:
মাদারীপুর ও শরিয়তপুরে পদ্মা সেতু প্রকল্পে প্রতারণার মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার চক্রের অন্যতম সদস্য হুমায়ুন ঢালীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বুধবার(১৬ আগষ্ট) সকালে শরিয়তপুরের নিজবাড়ি থেকেএই প্রতারককে গ্রেফতার করে মাদারীপুর জেলা গোয়েন্দা পুলিশের সদস্যরা। গ্রেফতারকৃত হুমায়ুন শরিয়তপুরের জাজিরা উপজেলার বিকেনগর ইউনিয়নের হাওলাদারকান্দি এলাকার আব্দুল হক ঢালীর ছেলে।
মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ কামরুল হাসান জানান, ‘ভুয়া কাগজপত্র বানিয়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে ঘটনায় গত ১৮ জানুয়ারি ৫ জনের নামে সদর মডেল মামলা করেন জেলা প্রশাসকের এলএ শাখার কম্পিউটার অপারেটর সোহাগ মিয়া। পরে শাহীন বেপারী (৫৬) নামে একজনকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠায় পুলিশ। তার দেয়ার তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে নিজবাড়ি থেকে হুমায়ুনকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা পুলিশের সদস্যরা।
তিনি আরো জানান, ‘জেলা প্রশাসন কার্যালয়ে হুমায়ুনসহ ২০ জনের একটি টিম গড়ে তুলেছে শক্তিশালী সিন্ডিকেট। এরই মধ্যে দালালদের তালিকা করে তাদের নাম প্রকাশও করা হয়েছে। এই চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে অসহায় মানুষকে বেকায়দায় ফেলে হাতিয়ে নেয় ক্ষতিপূরনের কোটি কোটি টাকা। প্রতারকচক্রের বাকি সদস্যদের ধরতে কাজ চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
জানা গেছে, ৫ বছর আগেও জাজিরার কাজির হাটসহ কয়েকটি হাটে ছাগল বিক্রির দালালির পাশাপাশি জমিতে ট্রাক্টর চালিয়ে হাল চাষ করতেন হুমায়ুন ঢালী। দরিদ্র পরিবারের সন্তান হুমায়ুনের একসময় নিজের ভিটেমাটি ছাড়া আর কোনও জমি ছিল না। গত ৫ বছরে তিনি হয়েছেন কোটি কোটি টাকার সম্পত্তির মালিক। মাত্র কয়েক বছরে আঙুল ফুলে কলাগাছ হওয়া হুমায়ুন দৈনিক বাজার এলাকায় পাঁচতলা বিশিষ্ট একটি ভবন নির্মাণ করেছেন। এছাড়া ব্যাংকে কোটি কোটি টাকা রয়েছে বলেও অভিযোগ রয়েছে।
এই নিয়ে গত ২৯ মে সারাক্ষণ নিউজ সংবাদ প্রচার করা হয়।এর পর থেকেই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন।
প্রসঙ্গত, মাদারীপুরে জেলা প্রশাসকের এলএ শাখার কম্পিউটার অপারেটর সোহাগ মিয়ার দায়ের করা মামলায় আলী জামান, নজরুল খাঁ (৩৫), আক্তারুজ্জামান জামিনে রয়েছে। আর কাজী মোহাম্মদ নাসিরউদ্দিন গত ৫ বছর ধরে এলাকা ছাড়া।কাজী নাসির উদ্দিনও রেষ্টুরেন্টের ওয়েটার থেকে কোটি কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন মাত্র কয়েক বছরে। গ্রামে রয়েছে আলিশান বাড়ি।।
Leave a Reply