মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার কাঠালবাড়ি ইউনিয়নের বাংলাবাজার এলাকার ইসমাইল বেপারীর আড়াই বছর বয়সী শিশু কুতুব উদ্দিনকে তার বড় চাচি নার্গিস আক্তার ও তার মেয়ে কৌশলে ১৪ সেপ্টেম্বর (বুধবার) সকালে বাড়ি থেকে নিয়ে হত্যা করে তাদের বাড়ির গর্তে চাপা দেয়।
প্রতিনিধি শিবচরঃ
মাদারীপুরের শিবচরে শিশু কুতুবউদ্দিনের হত্যা মামলায় চাচি নার্গিস বেগম আদালতে দায় স্বীকার করে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন।
শনিবার সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শিবচর থানার ওসি (তদন্ত) আমির হোসেন সেরনিয়াবাদ।
এসময় আমীর হোসেন সেরনিয়াবাদ জানান, মাদারীপুরের শিবচরে অপহরনের ৩ দিন পর শরীয়তপুরের জাজিরায় চাচির বাবার বাড়ির ভবনের নির্মানাধীন টয়লেটের মেঝের নীচ থেকে শুক্রবার ভোর রাতে বালু চাপা শিশু অবস্থায় শিশু কুতুব উদ্দিনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় শিশুটির বাবা ইসমাইল বেপারী বাদি হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করলে শিশুটির আপন বড় চাচি নার্গিস বেগম ও তার মেয়ে হাফসা আক্তারকে গ্রেফতার করা হয়। পরেগতকাল বিকেল ৫টার দিকে মাদারীপুর চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তাদের হাজির করা হলে চাচি হত্যার কথা স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে চায়। পরে ওই আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাইদুর রহমান চাচির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করেন।
মাদারীপুর আদালতের পুলিশ পরিদর্শক রমেশ চন্দ্র দাস বলেন, ‘শিশু হত্যার দায়ে চাচি ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন আর মেয়েকে আদালতের জেলে রাখা হয়েছে। রবিবার সকালে মেয়েকে আদালতে হাজির করলে তার বিষয় সিদ্ধান্ত হবে।’
উল্লেখ্য, মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার কাঠালবাড়ি ইউনিয়নের বাংলাবাজার এলাকার ইসমাইল বেপারীর আড়াই বছর বয়সী শিশু কুতুব উদ্দিনকে তার বড় চাচি নার্গিস আক্তার ও তার মেয়ে কৌশলে ১৪ সেপ্টেম্বর (বুধবার) সকালে বাড়ি থেকে নিয়ে হত্যা করে তাদের বাড়ির গর্তে চাপা দেয়।
এ ঘটনায় শিশুর পিতা শিবচর থানায় ১৫ সেপ্টেম্বর অপহরণ মামলা করেন, পরে নার্গিস আক্তার ও তার মেয়েকে আটক করে চাপ দিলে শুক্রবার রাত তিনটার দিকে তাদের বাড়ী থেকে শিশুর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। এঘটনায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।