শিবচর (মাদারীপুর) প্রতিনিধিঃ-
শিবচরে এক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেনির শিক্ষার্থী আবু হানিফকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে ওই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে।
গতকাল মঙ্গলবার সকালে বিদ্যালয়ে এক ছাত্রের অভিযোগের ভিত্তিতে শিবচর পৌর এলাকার গুয়াতলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এ ঘটনা ঘটে। আহত শিক্ষার্থী হানিফ এর শরীরে জ্বর ও শরীরে প্রচন্ড ব্যাথা দেখা দিয়েছে। বিষয়টি এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম (ফেইসবুকে) আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।

আহত শিক্ষার্থী
আহত শিক্ষার্থী আবু হানিফ শিবচর পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের গুয়াতলা গ্রামের শাহীন শিকদারের ছেলে। সে গুয়াতলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেনির ছাত্র। তার রোল নং- ৯০।
আহত শিক্ষার্থী আবু হানিফ জানায়, “অন্য এক ছাত্রের অভিযোগের ভিত্তিতে আমাদের সাইদুর রহমান রিপন স্যার আমাকে গাছের ডাল ভেঙ্গে আমাকে পিটিয়েছে। ওই স্যার আমাকেসহ তিনজনকে গাছের ডাল দিয়ে পিটিয়ে আহত করেছে।”

আহত ছাত্র আবু হানিফের দাদা শাহ-আলম শিকদার জানান, “আমার নাতিকে রিপন স্যার গাছের ডাল ভেঙ্গে পিটিয়েছে। আজকে আমি বিষয়টি দেখছি। সকালে হানিফের মা বিদ্যালয়ে গিয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষকের কাছে অভিযোগ করেছে। আমি ওই শিক্ষকের বিচার চাই।”
অভিযুক্ত শিক্ষক মোঃ সাইদুর রহমান (রিপন) মুঠোফোনে কল করা হলে তিনি মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে তিনি বলেন পরে বিস্তারিত জানানো হবে বলে সাংবাদিকদের জানান।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক একেএম ফজলুল হক বলেন,আজ সকালে ছেলেটির মা আমাকে মৌখিকভাবে বিষয়টি জানান।তার ছেলেকে আমাদের স্কুলের সহকারী শিক্ষক প্রহার করেছে।এঘটনার তদন্ত সাপেক্ষে সুষ্ঠু বিচারের অনুরোধ করছি ।”
এ ব্যাপারে শিবচর উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ রফিকুল ইসলাম জানান, “গতকাল মঙ্গলবার সকালে গুয়াতলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সাইদুর রহমান রিপন ৫ম শ্রেনির ছাত্রকে গাছের ডাল ভেঙ্গে পিটায়েছে বলে আজ শুনেছি। আজ বুধবার দুপুর আড়াইটার সময় আমি বিষয়টি শোনার পর তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি করে দিয়েছি।”
শিবচর উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার শফিকুল ইসলাকে প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি করা হয়। তদন্ত কমিটির অপর সদস্যরা হলেন-সহকারী শিক্ষা অফিসার মিজানুর রহমান ও মাহতাব উদ্দিন। উপজেলা শিক্ষা অফিসার আরও বলেন- বিষয়টি অত্যন্ত ন্যাক্কার জনক। কোমলমতি শিক্ষার্থীকে কোন শিক্ষকই নির্মমভাবে পিটাতে পারে না। তদন্ত সাপেক্ষ দোষী সাবস্থ হলে অবশ্যই তার বিচার হবে।
শিবচর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আসাদুজ্জামান জানান, “কোন শিক্ষকই নির্মমভাবে পিটাতে পারে না। বিষয়টি অত্যন্ত ন্যাক্কার জনক। তদন্ত সাপেক্ষ দোষী সাবস্থ হলে অবশ্যই তার বিচার হবে।”