মাদারীপুর প্রতিনিধিঃ
মাদারীপুরে নার্সিং ইন্সটিটিউটের
লিমা খাতুন (২২) নামে এক শিক্ষার্থীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে৷
সোমবার (১২ ডিসেম্বর) সকাল ৯টার দিকে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
এর আগে রোববার দিবাগত রাত ১২ টার দিকে নার্সিং ইন্সটিটিউটে এ ঘটনা ঘটে।এ ঘটনায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে পুলিশ। মাদারীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনোয়ার হোসেন চৌধুরী মৃত্যুর ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
নিহত লিমা জয়পুরহাট জেলার চর রঘুনাথ এলাকার মৃত বেলাল হোসেনের মেয়ে ও মাদারীপুর নার্সিং ইন্সটিটিউটের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।
হাসপাতাল ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, রোববার দিবাগত রাত ১২টার দিকে বাথরুমে প্রবেশ করে ভেতর থেকে দরজা বন্ধ করে রাখে। পরে দীর্ঘক্ষণ ধরে দরজা বন্ধ থাকায় আরেক শিক্ষার্থী বাথরুমের দরজায় ধাক্কা দেয়। এসময় ভেতর থেকে সাড়া শব্দ না পেয়ে বাথরুমে থাকা ভেন্টিলেটরের ছিদ্র দিয়ে তাকিয়ে লিমাকে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় দেখতে পায়। এসময় ওই শিক্ষার্থীর ডাক চিৎকারে অন্যরা শিক্ষার্থীরা এগিয়ে আসে।পরে বাথরুমের দরজা ভেঙে বাথরুম থেকে উদ্ধার করে লিমাকে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে। পরবর্তীতে লিমার অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য মাদারীপুর থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে অ্যাম্বুলেন্সে উঠালে সেখানেই তার মৃত্যু হয়।
আখি নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, দীর্ঘক্ষণ সময় সে বাথরুমে থাকায় আমাদের সন্দেহ হয়। তখন ভেন্টিলেটরের ছিদ্র দিয়ে তাকিয়ে লিমাকে গলায় ফাঁস লাগানো দেখতে পায়।পরে আমরা দরজা ভেঙ্গে তাকে উদ্ধার করে হসপিটালে নিয়ে গেছি।
এ বিষয়ে ওই ইন্সটিটিউটের ইনচার্জ পারিসা খাতুন বলেন, ঘটনার পর পরই তাকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছে। পরে অবস্থার উন্নতি না হলে ঢাকা নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। কিন্তু কি কারণে মেয়েটি এ ঘটনা ঘটালো আমরা কিছু বুঝলাম না।
মাদারীপুর সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. রিয়াদ মাহমুদ বলেন, মেয়েটিকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসলে আমরা তাকে ভর্তি করি। আমরা আমাদের মেয়েটিকে বাঁচানোর সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি।উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা নেওয়ার জন্য গাড়িতে উঠানোর আগে তার মৃত্যু হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মাদারীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনোয়ার হোসেন চৌধুরী বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য জেলা হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট না পাওয়া প্রর্যন্ত মৃত্যুর কারণ জানা যাবে না।
Leave a Reply