সারাক্ষণ ডেস্কঃ
জুয়েল মাদবর (৩০),বাড়ি মাদারীপুরের শিবচরের দ্বিতীয়খন্ড ইউনিয়নের মাদবর কান্দি গ্রামে।প্রায় পচিশ বছর আগে পিতৃহারা হন জুয়েল।বাবা মৃত তৈয়ব আলী মাদবরের পাঁচ সন্তানের মধ্য জুয়েল চতুর্থ। বড় তিন বোন বিবাহিত তবে ছোট ভাইটি বেকার।
জন্ম থেকেই শারিরীক প্রতিবন্ধী তিনি। ৪ বছর বয়সে পিতৃহারা জুয়েল লেখা পড়ায় বেশ আগ্রহ থাকলে ও পরিবারের হাল ধরতে গিয়ে বেশী দূর আগাতে পারেন নি তিনি।একসময় মা আর ছোট ভাইকে নিয়ে বেশ অভাব অনটনে থাকতে হয়েছিলো।কিন্তু শারীরিকভাবে হাটা চলা করতে অক্ষম হলেও পিছপা হননি জুয়েল।সংসার জীবনের হাল ধরতে শুরু করেন ব্যবসা।
সমাজ সেবা অধিদপ্তরের প্রতিবন্ধী ভাতা ভোগী এই জুয়েল প্রায় ১০ বছর আগে দ্বিতীয়খন্ড এলাকার জিনার গেট নামক স্থানে একটি বিকাশ ও ফ্লেক্সিলোড এর দোকান দেন তিনি।ধীরে ধীরে ব্যবসা বাড়াতে কয়েক মাস আগে বড় বোন হাচিনা বেগমের নাম দিয়ে বেসরকারি সংস্থা “আশা” ও শরিয়তপুর ডেভেলপমেন্ট সোসাইটির কাছ থেকে সাপ্তাহিক ৫ হাজার টাকা কিস্তি পরিশোধ মর্মে এক লাখ নব্বই হাজার টাকা লোন নিয়ে আগানোর চেষ্টা করেন।নিজের ব্যবসার পরিধি বাড়াতে ১ হাজার টাকা প্রতিমাসে ভাড়া হিসেবে একটি দোকান ভাড়া নেন তিনি। পরে সেখানে বিকাশ,নগদ ও ফ্লেক্সিলোডের পাশাপাশি চাল ও গ্যাস স্লিন্ডারের বিক্রি শুরু করেন।
তাই গত সপ্তাহে শিবচর বাজার থেকে ৮০ বস্তা চাল ও কয়েকটি গ্যাস সিলিন্ডার কিনে নিজ দোকানে আনেন।
কিন্তু গতকাল বুধবার (১৪ জুলাই) দিবাগত রাতে সেই দোকানের তালা ভেঙে সেই ৮০ বস্তা চাল ও ক্যাশ বাক্স হতে নগদ ১৫ হাজার টাকা নিয়ে গেছে চোর।পরে আজ সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন শিবচর থানা পুলিশ।
দোকান মালিক জুয়েল জানায়, গতকাল রাতে দোকান বন্ধ করে বাড়ি যাই।তারপরই রাতের কোন এক সময় দোকানের সাটারের তালা ভেঙে ৮০ বস্তা চাল ও নগদ ১৫ হাজার টাকা নিয়ে যায় চোরেরা।এখন আমি কি করবো?খুব কষ্টরকরে এনজিও থেকে লোন এনে ব্যবসা শুরু করেন তিনি।প্রতি সপ্তাহে পাঁচ হাজার টাকা কিস্তি পরিশোধ করতে হয় তাকে।
এবিষয়ে জুয়েল আরো জানান জানান, চাল ও নগদ টাকা বাবদ প্রায় তার দেড় লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে। এমর্মে তিনি সন্ধায় তার ভাইকে সাথে নিয়ে শিবচর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করবেন তিনি।
শিবচর থানার উপ পরিদর্শক (সেকেন্ড অফিসার, অপারেশন) মো. রবিউল ইসলাম জানান,আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি।
তারা অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।