1. rafiqulislamnews7@gmail.com : Rafiqul Islam : Rafiqul Islam
  2. jmitsolutionbd@gmail.com : jmmasud :
বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ১০:২৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
শিবচরে তীব্র গরমে পথচারীদের তৃষ্ণা মেটাতে শরবত বিতরণ করলো ‘দেশ’ শিবচরে ইসলামী আন্দোলনের উদ্যোগে তৃষ্ণার্ত পথচারীদের মাঝে শরবত বিতরন মাদারীপুরে মাহিন্দ্র উল্টে চালকসহ নিহত দুই মাদারীপুরে হিট স্ট্রোকে দুইজনের মৃত্যু শিবচরে যাত্রীবাহী বাস উল্টে নিহত ১,স্ত্রী ও ছেলেসহ আহত ১০ শিবচরে প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহের সমাপনী অনুষ্ঠিত শিবচরে ভোটের দরকার হচ্ছে না,তিন প্রার্থী জয়ের পথে প্রতিষ্ঠাবাষিকী উপলক্ষে হতদরিদ্র শিক্ষার্থীর মাঝে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করলো তারুণ্যের শক্তি  ফাউন্ডেশন মাদারীপুরে ৫টি চোরাই মোটরসাইকেলসহ তিনজন গোয়েন্দা পুলিশের জালে শিবচর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিভিন্ন পদে ৬ জনের মনোনয়ন পত্র দাখিল

অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মাদারীপুর ডিসি অফিসের কর্মচারী বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

  • প্রকাশিত : বৃহস্পতিবার, ১৭ আগস্ট, ২০২৩, ৩.৫৮ পিএম
  • ৩০৩ জন সংবাদটি পড়েছেন।

মাদারীপুর প্রতিনিধি

মাদারীপুরে আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের কর্মচারী মিজানুর রহমান ফকিরের (৫৩) বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) দুপুরে দুদকের মাদারীপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আখতারুজ্জামান বাদী হয়ে এ মামলা করেন। অভিযুক্ত মিজানুর রহমান ফকির জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের অফিস সহকারী কাম মুদ্রাক্ষরিক পদে চাকুরী করছেন। তিনি মাদারীপুর পৌরসভার পাঠককান্দি এলাকার কিনাই ফকিরের ছেলে।

মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে ২০১৯ সালে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়। পরে প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে তদন্তে নামে দুদক। মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালে মিজানুর রহমান ফকিরের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ উঠে। বিষয়টি আমলে নিয়ে তার প্রাপ্ত সম্পদের অনুসন্ধান শুরু করেন দুদকের ফরিদপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সাবেক উপ-সহকারী পরিচালক সৌরভ দাস। প্রাথমিকভাবে মিজানুর রহমান ফকিরের বিরুদ্ধে দুর্নীতির তথ্য প্রমাণ পাওয়ায় তাকে সম্পদ বিবরণীর নোটিশ পাঠানো হয়। তার দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীর নোটিশ পর্যালোচনা করেন মাদারীপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আখতারুজ্জামান। দুদকের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, মিজানুর রহমান ফকির দুর্নীতি দমন কমিশনে তাঁর দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে নিজ নামে স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ মিলিয়ে ২৯ লক্ষ ৮৪ হাজার ৪৬২ টাকা মূল্যের সম্পদ গোপন করেছেন এবং ৩০ লক্ষ ১২ হাজার ৩৫৮ টাকা মূল্যের জ্ঞাত আয়ের উৎস বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও দখলে রেখেছেন যা দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৪-এর ২৬ (২) ধারা ও ২৭(১) ধারা অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এসব বিষয়ের কারনে মিজানুর রহমান ফকিরের বিরুদ্ধে ঢাকার দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রধান কার্যালয় থেকে চলতি মাসের ৮ তারিখে মামলা দায়ের করার অনুমোদন দেওয়া হয়। পরে বৃহস্পতিবার সহকারী পরিচালক আখতারুজ্জামান বাদী হয়ে মামলাটি করেন।

এ বিষয়ে মামলার বাদী আখতারুজ্জামান বলেন, প্রাথমিকভাবে মিজানুর রহমান ফকিরের সম্পদ অনুসন্ধান করে দেখা যায় তিনি অবৈধভাবে সম্পদ অর্জন করেছেন। এসব তথ্য ও প্রমাণ হাতে পেয়ে তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। এই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসেবে আমাকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। তদন্ত শেষে চার্জশিট দেয়া হবে।

এদিকে দুদকের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মিজানুর রহমান ফকির। তিনি মুঠোফোনে বলেন, আমার কোনো অবৈধ সম্পদ নেই। দুদক আমাকে নোটিশ পাঠালে আমি আমার সম্পদের বিবরণী তাদের কাছে জমা দিয়েছিলাম। তারপর কি হয়েছে বলতে পারিনা।

জানতে চাইলে জেলা প্রশাসকের মুখপাত্র ও মাদারীপুর স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক মো. নজরুল ইসলাম জানান, মিজানুর রহমান ফকিরের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা দায়েরের বিষয়ে তিনি জানেন না। তবে দুদকের দায়ের করা মামলায় তিনি আইনগতভাবে অভিযুক্ত প্রমাণ হলে তার বিরুদ্ধে অ্যাকশনে যাওয়া হবে।

উল্লেখ্য, মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে ২০১৯ সালে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়। পরে প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে তদন্তে নামে দুদক। অনুসন্ধানে জানা যায়,মাদারীপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে চাকরির সময়ই মিজানের ভাগ্যোন্নয়ন শুরু হয়। মাদারীপুর ও শরীয়তপুরে পরিবহন ব্যবসায়ও তিনি যুক্ত রয়েছেন। মাদারীপুরে তাঁর একাধিক ট্রাক এবং শরীয়তপুরে একাধিক গাড়ি রয়েছে। মাদারীপুর শহরেই তার ৪টি বাড়ি রয়েছে। মাদারীপুর শহরের পাঠককান্দি এলাকায় তাঁর একটি বাড়ি রয়েছে। বাড়ির বড় একটি অংশ ভাড়া দেওয়া। ১৪ শতাংশ জমির ওপর বাড়িটি গড়ে তোলা হয়েছে। শহরের স্টেডিয়ামের পেছনেও বহুতল ভবন নির্মাণ করেন। জমিসহ বাড়িটির বাজারমূল্য প্রায় তিন কোটি টাকা। শহরের থানতলী এলাকায়ও একটি বাড়ি রয়েছে। ওই বাড়িতে তাঁর ছোট ভাই থাকেন। বাকি ঘরগুলো ভাড়া দেওয়া। মাদারীপুর শহরের ইউআই স্কুল সংলগ্ন এলাকায় ১০ শতাংশ জমিতে তাঁর একটি বাড়ি রয়েছে।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published.

© All rights reserved © 2022
Don`t copy text!