শিবচরনিউজ২৪.কম ডেস্কঃ
‘স্যার আমার অমতে আমার পরিবার জোর করে বিয়ে দিচ্ছে, আমি আরো পড়ালেখা করতে চাই, আমাকে ঝড়ে যেতে দিবেন না’ বলে ফোন দিয়ে জানান শিবচরের সরকারী বরহামগঞ্জ কলেজে পড়ুয়া এক শিক্ষার্থী।আর এ ঘটনা শোনার সাথে সাথে রবিবার (৩ মে) রাত সাড়ে দশটার দিকে ওই ছাত্রীকে উদ্বার করে তার দাদির ঘরে ঠাই করে দেন শিবচর থানার ওসি।
জানা যায়, শিবচরের বরহামগঞ্জ কলেজের স্নাতক (পাশ) প্রথম বর্ষে অধ্যয়নরত ওই শিক্ষার্থীর বাবা- মা তার অমতে উপজেলার বাশকান্দি এলাকার এক প্রবাসীর সঙ্গে বিয়ে ঠিক করেন। মেয়েটি বিয়েতে রাজি না হওয়ায় কয়েকদিন ধরেই তার বাবা-মা তার উপর শারিরীর ও মানষিক নির্যাতন করে আসছে।
রবিবার রাত দশটার দিকে মেয়েটির বাবা- মায়ের অত্যাচার থেকে রক্ষাপেতে সে তার স্কুল শিক্ষক বড় চাচার ঘরে আশ্রয় নিতে যান। সেখানেও তার বাবা-মা তাকে মারধর করার চেষ্টা চালায়।এসময় মেয়েটি ফোন দিয়ে শিবচর থানার ওসিকে বিষয়টি জানান।
পরে শিবচর থানার ওসি আবুল কালাম আজাদের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল মেয়েটির বাড়ি গিয়ে উপস্থিত সকলের সাথে আলাপ করে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করেন।
এরপর ওসি আবুল কালাম আজাদ মেয়ের বাবার উদ্দেশ্য বলেন’ আপনি যদি মেয়েকে জোর করে বিয়ে দেন তাহলে আপনাকে জেলে পাঠানো হবে।
এ ব্যাপারে মেয়েটির চাচা জানান, আমার এই ভাতীজি সবে মাত্র ডিগ্রীর প্রথম বর্ষে পড়ে,সে খুবই মেধাবী। আমার জানামতে তার বাবা -মা জোর করে বিয়ে দিতে চাচ্ছে। এই বিয়ের বিষয়ে আমার কোন সম্পৃক্ততা নাই। আমি প্রশাসনের সহযোগিতা চাই।
পরে মেয়েটির বাবা তার ভুল বুঝে উপস্থিত সকলের সামনে মেয়ের অমতে তাকে বিয়ে না দেওয়ার কথা জানান।
এ ব্যাপারে শিবচর থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ বলেন, ফোনে যখন বিষটি আমাকে জানানো হয়,তারপরে আমি মেয়েটির বাড়ি যাই।তাদের অবিভাবকদের এ বিষয় সম্পর্কে সচেতন করি।এছাড়া মেয়েটিকে তার দাদীর দ্বায়িত্বে তুলে দেই।
অন্যায় ও দূর্নীতির খবর শিবচরনিউজ২৪.কমকে দিয়ে সেবা নিন।
Leave a Reply