শিবচরনিউজ২৪ ডেস্কঃ
শিবচর উপজেলার বিভিন্ন সড়ক ও আঞ্চলিক সড়কগুলোতে সন্ধ্যা লাগলেই চলাচল করা দূরুহ হয়ে পড়েছে যার একটাই কারণ বর্তমানে ব্যাটারীচালিত ভ্যান,অটো,নসিমনসহ বিভিন্ন যানবাহনের হেড লাইটে এলইডি লাইটের ব্যবহার।
এছাড়াও যে কোন সাধারন ব্যক্তি রাতে শহরসহ সড়ক-মহাসড়কে বের হলই গাড়ির হেডলাইটের যন্ত্রনায় পড়ছে আর যানবাহনের হেডলাইটের এবং এলইডি লাইটের আলোর প্রভাবে রাতে চলা-চলের অনেকটা ঝুঁকি হয়ে পড়েছে। শুধু শিবচরেই না দেশের প্রতিটা শহরের সড়ক ও মহাসড়কে সর্বত্র দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে নানান ধরনের যানবাহনের সংখ্যা আর সেই সাথে বেড়ে চলছে এলইডি লাইটের ব্যবহার। যানবাহনের সাথে লাগানো এলইডি লাইটের আলো চলাচলের সময় ব্যাপক ভাবে চোখে পড়ায় সাধারন মানুষের পথ চলতে নানা সমস্যার সৃষ্টি হয়। এই আলো চোখে পড়া মাত্র যেন চোখ ধাধিঁয়ে যায়। যার ফলে প্রতিনিয়ত মানুষ সড়ক দূর্ঘটনার সম্মুখীন হচ্ছে।
শনিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) শিবচর উপজেলার বিভিন্ন সড়ক ঘুরে দেখা যায় প্রতিটি অটো ভ্যান, রিকশা, ইজিবাইক, সিএনজি, থ্রি হুইলার মাহিন্দ্র, নসিমন, করিমন, মোটরসাইকেলসহ অন্যান্য অনেক যানবাহনে এলইডি লাইটের ব্যাবহার। এছাড়া অন্য লাইট ব্যাবহারকারী যানবাহনের চালকরা এই এলিডি লাইটের আলোর কারণে দাঁড়িয়ে যায়, কারণ একটু বেপরোয়া হলেই ঘটবে দূর্ঘটনা।
এসময় বিভিন্ন গাড়ি চালকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, একসময় মোটরসাইকেলসহ প্রতিটি গাড়ির হেডলাইটের উপরের অংশে ছিল কালো রং করা। যাতে করে কারও চোখে আলোকরশ্মি না পড়ে এবং যারা গাড়ি চালায় তাদের গাড়ি চালাতে কষ্ট না হয়। এতে করে দূর্ঘটনা ও কম হত। বর্তমান যুগে এসে নানা প্রকার লাইটের আলো চোখে এমন ভাবে এসে পড়ে যে সামনে কি আসছে কিছুই বুঝা যায় না।
কুতুবপুর এলাকার আমির হোসেন হোসেন শিকদার বলেন,প্রায় ২০ বছর ধরে মোটরসাইকেল চালাই।বর্তমানে ভ্যানগাড়িসহ যানবাহনে যে এলইডি লাইট ব্যবহৃত হয়,তাতে রাতে বাইক চালানোর সময় খুব কষ্ট হয়।যখন ভ্যানগাড়ি সামনে পড়ে তখন আমি মোটরসাইকেল থামিয়ে রাখি।
শেখপুর শিবচর আঞ্চলিক সড়কের একাধিক ব্যাক্তির সাথে কথা বলে জানা যায় , বিপরীত দিক থেকে আসা ভ্যান বা ইজিবাইকের এলইডি লাইটের আলোর কারণে চালক এবং সাধারন মানুষের পথ চলতে চরম অসুবিধায় পড়তে হয়। সড়ক দুর্ঘটনার কারন গুলোর মধ্যে একটিও একটি অন্যতম কারন বলাচলে।
চান্দেরচর-শিবচর সড়কের কাচিকাটা এলাকার পথচারী দিদার হোসেন বলেন, এখন শহর ও গ্রাম গঞ্জের রিকশা-ভ্যানেও এলইডি লাইটের ব্যবহার বেড়েছে। বিপরিত দিক থেকে আশা গাড়ির ড্রাইভার বা মানুষ চলাচলের সময় যদি চোখে এই এলইডি লাইটের আলো পড়ে তাহলে কিছুই দেখা যায় না। যার কারনে চোখে উজ্জল আলো পড়ে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটছে।
এছাড়াও অনেকই আবার বলেন,আগে পুলিশ প্রশাসন গাড়ির লাইটে কালো রং না থাকলে ব্যবস্থা নিতো,এখন আর ধরে না তাই কেহই কালো রং করে না।
এ বিষয়ে একজন চক্ষু চিকিৎসকের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, এই লাইটের প্রভাবে ম্যাকুলা বার্ণ হতে পারে এবং প্রতিটা মানুষের চোখে কর্নিয়া থাকে এবং এই আলো সরাসরি চোখে লাগলে চোখ ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে। তবে দীর্ঘদিন এভাবে আলো চোখে লাগতে থাকলে কর্নিয়া নষ্ট হয়ে যেতে পারে। যাতে করে চোখে কম দেখা, ঝাপসা দেখাসহ আস্তে আস্তে অন্ধ হয়ে যেতে পারে।
এ ব্যাপারে শিবচর থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ বলেন, আমরা এ সমস্যা গুলো নিয়ন্ত্রন করার জন্য যা যা করা উচিৎ করছি যেসব যানবাহনে এলইডি লাইট লাগানো আছে আমরা বন্ধ করার ব্যাপারে দ্রুত পদক্ষেপ নিবো।
Leave a Reply