শিবচর (মাদারীপুর) প্রতিনিধিঃ
মাদারীপুরের শিবচরে মেয়ের বাড়ি থেকে গলায় রশি পেঁচানো অবস্থায় মোঃ হাকিম মাতুব্বর (৮৪) নামে বৃদ্ধ পিতার মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বুধবার (১০ মে) সকালে উপজেলার বন্দরখোলা ইউনিয়নের মফিতুল্লাহ্ হাওলাদার কান্দি গ্রাম থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত মো: হাকিম মাতুব্বর
ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার চরনাছিরপুরের বাসিন্দা।গত ৩ বছর আগে পদ্মা নদীতে বাড়ি বিলীন হলে সে একমাত্র মেয়ে ফাহিমার বাড়ি শিবচর উপজেলার বন্দরখোলা ইউনিয়নের মফিতুল্লাহ্ হাওলাদার কান্দী গ্রামে বসবাস করতেন।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, তিন বছর আগে স্ত্রী সোনাবান বিবিকে সাথে নিয়ে তার একমাত্র মেয়ে ফাহিমার বাড়ি শিবচর উপজেলার বন্দরখোলা ইউনিয়নের মফিতুল্লাহ্ হাওলাদার কান্দী গ্রামে বসবাস করতেন।গত ঈদুল ফিতরের তিনদিন পর মোঃ হাকিম মাতু্ব্বর মেয়ের বাড়ি থেকে সদরপুরের নাজির মামুদ হাজির কান্দিতে বসবাসরত দুই ছেলে লাক্ষু মাতুব্বর ও বাবুল মাতুব্বরের বাড়িতে বেড়াতে যান। সেখান থেকে গতকাল মঙ্গলবার সকালে কাউকে কিছু না বলে বের হয়ে চলে আসেন।পরে দিবাগত বাড়ির সবাই যার যার ঘরে ঘুমিয়ে পরে।সকালে বাড়ির লোকজন ঘুম থেকে উঠে ফাহিমার বাড়ির গরু রাখার একচালা টিনসেড ছাপরায় গলায় রশি পেচাঁনো অবস্থায় তার মরদেহ দেখতে পায়।
নিহত মোঃ হাকিম মাতুব্বরের মেয়ে ফাহিমা বেগম বলেন,’বাবা আমার বাড়িতেই ঘর নির্মান করে থাকেন তিন বছর যাবৎ। ঈদের তিনদিন পর বাবা আমার ভাইদের বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছেন। আজ সকালে আমার ছেলে টয়লেটে যাওয়ার সময় দেখতে পায় আব্বা গলায় রশি দিয়ে ঝুলে মাটিতে হামাগুরি অবস্থায় পরে আছে। পরে আমরা রশি কেটে দ্রুত ঘরে নিয়ে যাই। তখন বুঝতে পারি বাবার দেহ শক্ত হয়ে আছে।’
নিহতের বড় ছেলে লাক্ষু বলেন, “আমার বাবা আমার বোনের বাড়িতেই থাকতো। ঈদের পর আমাদের বাড়ি গিয়েছিলো। গতকাল আমাদের বাড়ি থেকে চলে আসছে সকালে। আমি আজ মাছ ধরতে নদীতে গিয়েছিলাম। পরে শুনলাম আব্বা মারা গেছে। শুনে এখানে আসলাম।’
এই ঘটনায় শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আনোয়ার হোসেন বলেন, এই ব্যাপারে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পরবর্তীতে আইন অনুযায়ী ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।
Editor In Chief : Md.Rafiqul Islam Raza
Sub-Editor : Abu Saleh Mussa
Design & Developed By: JM IT SOLUTION
Leave a Reply