শিবচর প্রতিনিধি:
মাদারীপুরে ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে সুজন শেখ নামে এক বিকাশ এজেন্টের কাছ থেকে চাঁদা নেয়ার অভিযোগে মামলা করেছেন ওই ভুক্তভোগী।
বৃহস্পতিবার (১৮ ফেব্রুয়ারী) দুপুরে জেলার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাইদুর রহমান সাঈদের আদালতে মামলটি দায়ের করা হয়।
সুজন শেখ ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার ভাড়ইভাংগা গ্রামের আব্দুল হকের ছেলে।
মামলার আসামীরা হলেন, শিবচরের দত্তপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের সহকারি উপ পরিদর্শক মাহাবুব ও কনস্টেবল সোহাগ এবং শিবচরের সূর্য্যনগর এলাকার টুম্পা টেলিকম এ্যান্ড মোবাইল কর্নারের প্রোপাইটর টোকান বেপারী।
মামলার এজাহারের বলা হয়, গত মঙ্গলবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ৩টার দিকে পদ্মাসেতু ভ্রমণ করে মোটরসাইকেলযোগে নিজ বাড়িতে ফিরছিলেন ব্যবসায়ী সুজন।পথিমধ্যে শিবচরের সূর্য্যনগর এলাকায় আসলে সুজনের মোটরসাইকেল থামিয়ে সাদা পোশাকে থাকা দত্তপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এএসআই মাহাবুব ও কনস্টেবল সোহাগ কাগজপত্র দেখতে চান। সুজন কাগজপত্র দেখালে তা সঠিক নয় উল্লেখ করে ওই দুই পুলিশ সদস্য এটি চোরাই মোটরসাইকেল বলে দাবী করে। পরে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবী করেন ওই দুই পুলিশ সদস্য। সুজন চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে সুজনকে ক্রসফায়ারের ভয় দেখায় মাহাবুব ও সোহাগ। পরে সুজনের সাথে থাকা মোবাইল থেকে পাশের টোকান বেপারীর দোকান থেকে বেশ কয়েকটি ম্যাসেজের মাধ্যমে এক লক্ষ ১০ হাজার টাকা তুলে নেয় ওই দুই পুলিশ সদস্য। পরে এ ঘটনা কাউকে যেন না বলে সুজনকে ছেড়ে দেয়া হয়। এ ঘটনায় ওইদিনই শিবচর থানায় মামলা দায়ের করতে গেলে পুলিশ কোন পরামর্শ না দিয়ে চলে যেতে বলে। পরবর্তীতে সুজন শেখ বাদী হয়ে আজনদুপৃরে মাদারীপুরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাইদুর রহমান সাঈদের আদালতে মামলটি করেন।
মামলার বাদী সুজন শেখ জানান, “আমাকে ভয় দেখিয়ে মোবাইল থেকে বিকাশের মাধ্যমে নগদ ১ লাখ ১০ হাজার টাকা তুলে নেয় ওই দুই পুলিশ সদস্য। যার প্রমান আদালতে মামলার নথিতে দেয়া হয়েছে”
এব্যাপারে শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিরাজ হোসেনকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি এ বিষয়ে কিছুই জানেন না বলে জানান।
মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আব্দুল হান্নান জানান, কোন পুলিশ সদস্যদের ব্যক্তিগত কোন দায়ভার বাংলাদেশ পুলিশ নিবে না। যাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে, মামলার কপি হাতে পেলে তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে”
Leave a Reply