প্রতিনিধি মাদারীপুর:
মাদারীপুর সদর হাসপাতালে এক সাথে ৪টি ইনজেকশন পুশ করায় মসজিদের ইমামের মৃত্যু হয়েছে।আর ভুল চিকিৎসার অভিযোগ এনে এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেছেন রোগীর স্বজন ও এলাকাবাসী।
৬২ বছর বয়সী নিহত দেলোয়ার হোসেন সদর উপজেলার খোয়াজপুর ইউনিয়নের টেকেরহাট গ্রামের সলেমান হাওলাদারের ছেলে।
সোমবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতের স্বজনরা জানায়,গত ২১ সেপ্টেম্বর শরীরে জ্বর ও ব্যাথার যন্ত্রনা হলে মাদারীপুর সদর উপজেলার বশারচর গ্রামের মুন্সিবাড়ির মসজিদের ইমাম দোলোয়ার হোসনকে স্থানীয় মঠেরবাজারের একটি ফার্মেসী প্রাথমিক চিকিৎসা দেন সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার আল শাহরিয়ার শাকিল। সেদিন তার শরীরে পুশ করেন তিনটি ইনজেকশন। পরে তার অবস্থার কোন পরিবর্তন না হওয়ায় ২৩ তারিখে ওই ডাক্তারকে মাদারীপুর সদর উপজেলা শহরের চৌধুরী ক্লিনিকে দেখানো হয়।সেদিন তিনি আরো কিছু ঔষধ দেন। পরে তার অবস্থা আরো অবনতি হয়।গতকাল (রোববার) সকালে বেশি অসুস্থ হলে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ওই ইমামকে ভর্তি করার পরামর্শ দেন চিকিৎসক শাকিল। পরে আজ সোমবার দুপুরে ফ্লুক্স-৫০০ এমজি নামের ৪টি ইনজেকশন ডাক্তার শাকিলের সহযোগিতায় একসাথে পুশ করার কিছু সময় পর মারা যান দোলোয়ার। এতে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন স্বজনরা।
ভুল চিকিৎসায় দোলোয়ারের মৃত্যু হয়েছে দাবি করে অভিযুক্ত চিকিৎসকের বিচার চান স্বজন ও এলাকাবাসী।
এদিকে অভিযুক্ত চিকিৎসক আল শাহরিয়ার শাকিলকে হাসপাতালে খুঁজে পাওয়া যায়নি। এ ব্যাপারে জানতে তার ব্যবহৃত মোবাইলে একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।
নিহত দোলোয়ারের ছেলে কাওসার হোসেন অভিযোগ করে বলেন, একসাথে ৪টি ইনজেকশন পুশ করার সাথে সাথে আমার বাবার মৃত্যু হয়। চিকিৎসক তখন তড়িঘড়ি করে হাসপাতাল ত্যাগ করে। এই ঘটনার বিচার চাই।
নিহতের স্ত্রীর বড় বোনের ছেলে রায়হান বলেন, গত ২৩ তারিখ আমি খালুকে ওই ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাই।তার পরামর্শ অনুযায়ী ঔষধ খাওয়ানো হয়।আজ জ্বর আর শরীর ব্যাথার ঘটনায় একসাথে ৪টি ইনজেকশন পুশ করা হলে ৭/৮ মিনিটের মধ্য এই ঘটনা ঘটে। তখন ডাক্তার শাকিলকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি দ্রুত হাসপাতাল ত্যাগ করেন। পরে হাসপাতালের লোকজন বিষয়টি নিয়ে চুপ থাকতে বলেন।
মাদারীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. কামরুল ইসলাম মিঞা জানান, ইমাম দোলোয়ার হোসেনের মৃত্যুর খবর পেয়ে পুলিশ হাসপাতাল পরিদর্শণ করেন। তবে, পরিবারের পক্ষ থেকে কেউ এখনো কোন অভিযোগ দেননি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মাদারীপুর সদর হাসপাতালের তত্ত্ববধায়ক ও সিভিল সার্জণ ডা. সফিকুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি এখনো কেউ তাকে জানাননি। তবে, স্বজনদের কাছ থেকে লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানান তিনি।
Editor In Chief : Md.Rafiqul Islam Raza
Sub-Editor : Abu Saleh Mussa
Design & Developed By: JM IT SOLUTION
Leave a Reply