মাদারীপুর করেসপন্ডেন্টঃ
মাদারীপুরে করোনায় গৃহবন্দি হওয়ায় হতদরিদ্রদের পাশে দাঁড়িয়েছে শহরের ইউনাইটেড ইসলামিয়া (ইউআই) সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।
বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের কাছে শিক্ষকদের ব্যক্তিগত তহবিল থেকে এক লক্ষ টাকার অনুদান তুলে দেয়া হয়। যা থেকে হতদরিদ্র মানুষদের জন্য সরকারের ত্রাণ শাখায় যোগ হবে। শিক্ষকদের পক্ষে চেক তুলে দেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মুহাম্মদ নুরুল ইসলাম। এ সময় জেলা প্রশাসক মো. ওয়াহিদুল ইসলাম, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহবুব হাসান, সিভিল সার্জণ ডা. শফিকুল ইসলাম, পৌর মেয়র খালিদ হোসেন ইয়াদসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।
জেলা প্রশাসক মো. ওয়াহিদুল ইসলাম বলেন, ইউআই স্কুলের শিক্ষকরা নিজেদের উদ্যোগে এই সহযোগিতা করেছেন। সকলের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা, আন্তরিকতা ও সহযোগিতায় করোনা ভাইরাস মোকাবেলা করা সম্ভব। এ সময় তিনি জানান, করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে মাদারীপুর জেলাকে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত এই লকডাউন বলবৎ থাকবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। তবে, আওতামুক্ত থাকবে জরুরী সেবা। ওষুধের ফার্মেসী ছাড়া প্রতিদিন দুপুর ১২টার পর নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দোকানও বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
করোনার রোগী শনাক্ত হওয়ায় এর আগে গত ১৯ মার্চ শিবচর উপজেলায় ঘোষণা করা হয় লকডাউন। পরে ১৩ এপ্রিল লকডাউন ঘোষণা করা হয় কালকিনি ও রাজৈর উপজেলা। এ থেকেই তিনটি উপজেলায় বন্ধ রাখা হয় সব ধরনের গণপরিবহন ও জনসমাগম। একই সঙ্গে প্রবেশ ও বাহির পথ আটকিয়ে দেয়া হয়েছে। করোনা ভাইরাসের রোগী শনাক্ত হওয়ায় জনমনে বিরাজ করছে আতঙ্ক। পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেয়া হয় লকডাউনের সিদ্ধান্ত।
এদিকে মাদারীপুর জেলায় করোনা ভাইরাসে মোট ২৩জন আক্রান্তের খবর জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক ও জেলা করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি মো. ওয়াহিদুল ইসলাম। এর মধ্যে শিবচর উপজেলায় ১৫জন, সদরের সংখ্যা ৫, কালকিনি ১জন আক্রান্ত হয়েছেন এবং রাজৈর উপজেলায় আক্রান্তের সংখ্যা ২জন। প্রতিনিয়ত এই আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ায় কঠোর অবস্থানে প্রশাসন। অপ্রয়োজনে ঘর থেকে বের হলেই জেল-জরিমানার সিদ্ধান্তও নেয়া হয়েছে। পাশাপাশি এ রোগের উপসর্গ দেখা দিলে আতঙ্কিত না হয়ে চিকিৎসকের পরারমর্শ নেয়ার অনুরোধ জানানো হয়।
Leave a Reply