করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে আজ থেকে বাংলাদেশে এক সপ্তাহের লকডাউন শুরু হয়েছে।সারাদেশে বন্ধ রাখা হয়েছে গনপরিবহন ও নৌযান চলাচল।তবে এসব যানবাহন বন্ধ থাকলেও থেমে নেই যাত্রী পারাপার।এই সুযোগ কে কাজে লাগিয়ে এক শ্রেণির অসাধু লোক শিমুলিয়া -বাংলাবাজার নৌরুটে অবৈধভাবে ট্রলার ও স্পীডবোটে যাত্রী পারাপার করছে।এতে কিছুতেই বন্ধ হচ্ছে না মানুষের চলাচল।সরকারের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে নৌপুলিশের নাকের ডগায় মারাত্মক ঝুঁকির মুখে যাত্রী বোঝাই করে বিভিন্ন ট্রলার ও স্পীডবোটে অবাধে যাত্রী পার করছে।দেখে যেন মনে হয় লকডাউনেও পদ্মা পারি দিতে প্রতিযোগিতায় নেমেছেন তারা।আর এ থেকে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করেছেন অনেকেই।
সোমবার (৫ মার্চ) বিকেল ৪ থেকে সন্ধা ৭ পর্যন্ত শিমুলিয়া বাংলাবাজার নৌরুটের বাংলাবাজারঘাট, পুরাতন কাঁঠালবাড়ি ঘাট থেকে পদ্মাসেতু পর্যন্ত পদ্মানদীর তীরবর্তী বিভিন্ন চর ও এর আশেপাশে বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে এমনটাই লক্ষ করা যায়।
এসময় বাংলাবাজার ঘাটে দেখা যায় শতশত যাত্রী পদ্মা নদী পার হয়ে বাংলাবাজারঘাট থেকে মাইক্রোবাস ও ইজিবাইকযোগে দক্ষিনাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় যাচ্ছে।এসময় তাদের কাছে থেকে তথ্য নিয়ে পুরাতন কাঠালবাড়ি ঘাটের ঠিক ১ কিলোমিটার পূর্বে হুরার মোড় এলাকায় গিয়ে দেখা যায় প্রায় ১০/ ১২ টি ইঞ্জিন চালিত ট্রলার ও ৫/৭ টি স্পীডবোটযোগে যাত্রীরা শিমুলিয়া থেকে বাংলাবাজার ঘাটের উদ্দেশ্যে আসছে।এসব ট্রলারে জনপ্রতি ১৫০ টাকা ও স্পীডবোটে ৩০০ টাকা করে যাত্রীদের পার করানো হচ্ছ।আর এসব ট্রলার ও স্পীডবোট বাংলাবাজার ঘাটে না এসেই ঘাটের অদূরে নদীর বিভিন্ন চরে যাত্রীদের নামিয়ে দিচ্ছে ।পরে যাত্রীরা কেউ পায়ে হেঁটে আবার কেউ মোটরসাইকেল ও ভ্যান যোগে বাংলাবাজার ঘাটে এসে মাইক্রোবাস,সিএনজি ও ব্যাচারীচালিত অটো বাইকে ছুটছেন তাদের গন্তব্য।
ঢাকা থেকে খুলনাগামী যাত্রী মহিবুল হোসেন বলেন,সকাল ১০ টায় ঢাকা থেকে রওনা হয়েছি।সিএনজিতে মাওয়া আসছি।ট্রলারে দেড়শো টাকা রাখলো।এখন মাইক্রোবাসে খুলনা যাবো।এখন মাইক্রোবাসে ৮০০ টাকা ভাড়া চায়। কিন্তু লঞ্চ ও ফেরি বন্ধ থাকায় নৌপথ ঝুঁকি আছে জেনেও অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে ট্রলারে নদী পার হচ্ছি।কি করমু বাড়িতে যে যেতেই হবে।
ঢাকাগামী মাসুদ রানা নামের আরেক যাত্রী বলেন,ভাই হাসপাতালে রোগী ভর্তি। তাই এই ঝুঁকি নিচ্ছি । সময়মতো পৌঁছাতে হবে। সে জন্য ঝুঁকি নিয়ে যেতে হচ্ছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন ট্রলার চালক বলেন,আজ কযেকটি ট্রিপ দিছি।কোন পুলিশ তো দেখিনা।দেড়শো টাকা করে পার করছি।এছাড়া এখানে স্থানীয় কিছু দালাল আছে তাদের ম্যানেজ করে নদীতে ট্রলার চালাচ্ছি।
স্থানীয় সামসুদ্দিন মাদবর নামে একজন বলেন,’আজ সারাদিনই এখান দিয়ে লোক পার হয়ে আসছে।কোন পুলিশ টুলিশ তো দেখছি না,
শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মিরাজ হোসনের কাছে মুঠোফোনে এ বিষয়য়ে জানতে চাইলে, তিনি বলেন আমি বিষটি যানতাম না,এখনি খোঁজ খবর নিচ্ছি।
Leave a Reply