শিবচরনিউজ২৪.কম ডেস্কঃ
শিবচর উপজেলাটি ১৯ টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার প্রায় ৪ লাখ লোক সহ আসপাশের জাজিরা ও মাদারীপুর সদরের প্রায় চারটি ইউনিয়নের জনগনের একমাত্র চিকিৎসা কেন্দ্র শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি।যা ৩১ শয্যা হয়ে ৫০ শয্যায় উন্নতি হলেও চতুর্থ শ্রেনীর কর্মচারী থেকে শুরু করে ডাক্তার পর্যন্ত প্রতিটি ক্ষেত্রেই রয়েছে জনবলের অভাব।
অন্যদিকে হাসপাতাল ঘিরে দিনদিন বাড়ছে দালালের দৌরাত্ম্য । দালালের কারণে হাসপাতালে সেবা নিতে আসা রোগীরা ঠিকমত চিকিৎসাসেবা নিতে পারছেন না।হাসপাতালের আশপাশে গড়ে ওঠা বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের কমিশনভিত্তিক দালালরা উন্নত চিকিৎসার প্রলোভন দেখিয়ে রোগী বাগিয়ে নিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। সরকারি হাসপাতাল স্টাফ ও ডাক্তারদের যোগসাজে কয়েকজন দালাল নিয়মিতই এই কাজ করছেন বলে গোপন সুত্রে জানা যায়।
মঙ্গলবার (৮ সেপ্টেম্বর) সরেজমিনে বেলা ১১ টার দিকে শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা যায়, আসে পাশের কয়েটি ক্লিনিক ও ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের কর্মচারীরা হাসপাতালের ভিতরে ঘুরাঘুরি করছেন।কয়েকজন আবার ডাক্তারদের রুম থেকে রোগীর বের হওয়ার সাথে সাথেই রোগির পিছু পিছু যাচ্ছেন।কেউ আবার মহিলা রোগিদের লাইনের মাঝে দাঁড়িয়ে আছেন।এসব দালাল ২৪ ঘণ্টাই হাসপাতালের ভিতরে ও মূল ফটকে বসে থাকে এবং রোগী আসতে দেখলেই টানাটানি করতে থাকে।
হাসপাতালে আসা একজন রোগী বলেন,আমরা হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসলেই বিভিন্ন ক্লিনিক ও ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের দালালরা আমাদের পিছনে পিছনে হাঁটতে থাকে।অনেক সময়ই আমাদের অভিভাবক ও দালালদের মধ্যে বাকবিতণ্ডার ঘটনা ঘটে থাকে।
তিনি আরো বলেন, অনেকই রোগীর স্বজনকে ফুসলিয়ে উন্নত চিকিৎসার প্রলোভন দেখিয়ে নিয়ে যায় অন্য হাসপাতালে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ শশ্বাঙ্ক চন্দ্র ঘোষ বলেন, দিন দিন প্রাইভেট ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সংখ্যা বাড়ছে। ফলে দালালও বাড়ছে।আমরা চেষ্টা করি তারা যেন হাসপাতালে প্রবেশ না করেন।আর যেহেতু আপনারা (সাংবাদিকরা) বিষয়টি দেখেছেন আমি চেষ্টা করবো তারা যেন আর হাসপাতালের ভিতরে না আসে।
এছাড়াও তিনি শিবচর উপজেলা ক্লিনিক মালিক এসোসিয়েশনের সাধারন সম্পাদকের সাথে মোবাইলে কথা বলে তাকে হুসিয়ার করে দেন।
Leave a Reply