কাঠালবাড়ি ব্যুরোঃ
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সরকারের ‘সর্বাত্মক লকডাউনের’ ঘোষণায় বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌরুটে ফেরি ব্যতিত সবধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে ফেরীতে জরুরী পন্যবাহী যানবাহন পার করা হলেও যাত্রী পারাপার শুন্য।যেখানে গতকাল সারাদিন নৌযান ও যানবাহনের যাত্রীদের ছিলো উপচে পড়া ভীড় আজ তার সম্পূর্ণ ব্যতিক্রম।
বুধবার (১৪ এপ্রিল) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত সরেজমিনে বাংলাবাজার ঘাটে গিয়ে দেখা যায় , ঘাটের নোঙ্গর করে রাখা হয়েছে সকল লঞ্চ ও স্পীডবোট তবে সকল ফেরী চলাচল করায় ঘাটে পারের অপেক্ষায় প্রায় ২ শতাধিক যানবাহন রয়েছে।
বিআইডব্লিউটিএর বাংলাবাজার লঞ্চ ঘাট সূত্রে জানা যায়, লকডাউনের ঘোষনার পর লঞ্চ চলাচল বন্ধ রয়েছে। কয়েকটি লঞ্চে দেখাশোনা করার জন্য লঞ্চের স্টাফরা ঘাট এলাকায় ঘুরাঘুরি করছেন।
বিআইডব্লিউটিসি’র বাংলাবাজার ফেরীঘাট সূত্র জানিয়েছে, ঘাটে ১০/১২ টি ফেরি চলাচল করছে। সাধারন কোন যাত্রী ঘাট এলাকায় নেই। পন্যবাহী পরিবহন পারাপার করা হচ্ছে। কঠোর লকডাউনে সাধারন যাত্রীরা ঘর থেকে বের হয় নি। তাই যাত্রী শূন্য রয়েছে বাংলাবাজার ঘাট এলাকা।
স্বাভাবিক সময়ে এ নৌরুটে ১৮টি ফেরি, ৮৭টি লঞ্চ ও ২শতাধিক স্পিডবোট নিয়মিত চলাচল করে।
বরিশাল থেকে আসা যাত্রী মাহবুবর রহমান জানান, ঢাকায় আমার বড় ভাই গুরুতর অসুস্থ্য। খবর পেয়ে সকালে ঘাটে এসেছি। বরিশাল থেকে ভেঙ্গে ভেঙ্গে অনেক কষ্ট করে এসেছি। এখন দেখি ঘাটে নৌচলাচল বন্ধ। ঘাটে কোন নৌযানই চলাচল করছে না। যেই অবস্থা মনে হয় ঢাকা যাওয়া হবে না, তাই আবার বাড়ি ফিরে যেতে হবে’
বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌরুটের লঞ্চ মালিক সমিতির সভাপতি বিএম আতাউর রহমান জানান, লকডাউন ঘোষণার শুরু থেকে আমরা এ রুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ রেখেছি। আজ বুধবার থেকে কঠোর লকডাউনের ঘোষণার পর থেকে ৮৭টি লঞ্চই সম্পূর্ণ বন্ধ রাখা হয়েছে। এছাড়া স্পিডবোটগুলো সম্পূর্ণ বন্ধ। কোন মানুষই এখন ঘাট দিয়ে পারাপার হতে পারছে না। বাংলাবাজার ঘাট এখন জনশূন্য হয়ে পড়েছে।
বাংলাবাজার ঘাটের ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক (টিআই) আশিকুর রহমান বলেন,’সকাল থেকেই ঘাট এলাকায় পুলিশের টহল রয়েছে। বাংলাবাজার লঞ্চ,স্পিডবোট, ফেরিঘাট ও আশেপাশের সড়কে পুলিশের চেকপোষ্ট ও টহল রয়েছে। কোন যাত্রীই ঘাট এলাকায় নেই।’
বিআইডব্লিটিসির বাংলাবাজার ঘাটের ব্যবস্থাপক মো: সালাউদ্দিন মিয়া জানান, সরকারের ঘোষিত কঠোর লকডাউনের প্রথম দিনে সবধরনের ফেরি চলাচল করছে তবে ফেরীতে এ্যাম্বুলেন্স, লাশবাহী এ্যাম্বুলেন্সসহ জরুরী পরিবহন পারাপার হচ্ছে ‘
Editor In Chief : Md.Rafiqul Islam Raza
Sub-Editor : Abu Saleh Mussa
Design & Developed By: JM IT SOLUTION
Leave a Reply