মাদারীপুর প্রতিনিধিঃ
মাদারীপুরের কালকিনিতে থেকে জহিরুল ইসলাম (১৬) নামে এক স্কুলছাত্রকে নিজ ঘরে গলাকেটে হত্যা করেছে দুবৃর্ত্তরা।
বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯ টার দিকে জেলার কালকিনি উপজেলার পূর্ব এনায়েতনগর ইউনিয়নের মহরদ্দিরচর গ্রাম সরদারের মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
কালকিনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসতিয়াক আসফাক রাসেল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহত জহিরুল ইসলাম কালকিনি উপজেলার পূর্ব এনায়েতনগর ইউনিয়নের মহরদ্দিরচর গ্রামের কাতার প্রবাসী বারেক সরদারের ছেলে। সে স্থানীয় সমিতিরহাট মাধ্যমিক উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এবার এসএসসি শিক্ষার্থী।
পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, জহিরুল ইসলাম গত রাতে তার বাড়িতে বিল্ডিংয়ের এক রুমে থাকতো। প্রতিদিনের মতো রাতে খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে যায়। সকালে তার কোন শব্দ না পেয়ে তার মা কহিনুর বেগম ডাকাডাকি করে। পরে ঘরের দরজা ভেঙ্গে ভিতরে জহিরুলের কম্বল দিয়ে ঢাকা মৃতদেহ দেখতে পায়। পরে স্থানীরা পুলিশকে খবর দিলে ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে। জহিরুলের গলায় কোপ রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলায় কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। পরে মৃতদেহ উদ্ধার করে মাদারীপুর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।
নিহতের মা কহিনুর বেগম জানান, ‘আমার ছেলেকে পূর্বপরিকল্পিত নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। আমার স্বামী কাতার প্রবাসী। আমাদের তেমন কোন শত্রু নেই। আমাদের ঘরের তিন রুমের মধ্যে উত্তর কোণার রুমে জহিরুল ঘুমাতো। আমরা কোন সাড়া-শব্দ পাই নাই। কেন কি কারণে হত্যা করেছে, এখনও বুঝতে পারছি না। তবে যারাই হত্যা করুক, আমি হত্যাকারীদের ফাঁসি চাই।’
কালকিনি থানার ওসি ইশতিয়াক আশফাক রাসেল বলেন, ‘খবর পেয়ে কালকিনি থানা থেকে পুলিশ গিয়ে জহিরুলের লাশটি ঘর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। লাশের শরীরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলায় কাটা ও মাথায় আঘাতের দাগ রয়েছে।’
ওসি আরো বলেন, ‘যেহেতু ঘরে রুমের মধ্যে এই হত্যাকান্ড সংঘটিত হয়েছে। তাই আমরা তদন্ত না হওয়া পর্যন্ত এখন কিছু বলতে পারছি না।লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে।’
মাদারীপরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও প্রশাসন) চাইলাউ মাররা বলেন, ‘ঘটনার শোনার পরে আমিসহ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। মৃতদেহের সুরতহাল করা হয়েছে। নিহতের পরিবার মামলা দিলে আমলে নেয়া হবে।’
Leave a Reply