1. rafiqulislamnews7@gmail.com : Rafiqul Islam : Rafiqul Islam
  2. jmitsolution24@gmail.com : jmmasud :
মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫, ০৭:১৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার এন্ড পারফরম্যান্স স্ট্যাডিজ বিভাগে ২য় স্থান অর্জন করেন শিবচরের মিমো সৌদি আরব থেকে দেশে এসে স্ত্রী -সন্তানদের সাথে দেখা করতে শ্বশুর বাড়ি যাওয়ার পথে যুবকের মৃ*ত্যু শিবচরে আলোচিত রাকিব হ*ত্যা মাম*লার দুই আ*সা*মী গ্রে*ফ*তার শিবচরে শ্রেষ্ঠ গুণী শিক্ষক হলেন ইদ্রিস ও লাইলুন নাহার শিবচরে ৩ মাসের শিশুকে নদীতে ফেলে হত্যা করলো মা, অভিযুক্ত মা মানসিক ভারসাম্যহীন দাবী শিবচরে মেধাবী ছাত্র ছাত্রীদের মাঝে বৃত্তি প্রদান ক্যাম্পাসে ভালোবাসায় সিক্ত ‘জুলাই কন্যা’ মাদারীপুরের তন্বী ডাকসু নির্বাচনে শিবচর থেকে প্রার্থী হয়েছেন যারা শিবচর উপজেলা থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্সপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের নবীনবরণ অনুষ্ঠিত ও নতুন কমিটি গঠন যোগদানের ২২ দিনের মাথায় শিবচর থানার ওসি প্রত্যাহার

মাদারীপুরে হত্যা মামলায় ৪৪ আসামী খালাস

  • প্রকাশিত : রবিবার, ২৬ নভেম্বর, ২০২৩, ৯.৫২ পিএম
  • ৫৪৭ জন সংবাদটি পড়েছেন।

মাদারীপুর প্রতিনিধি

মাদারীপুরে ২০০৫ সালের আলোচিত ইরিব্লকের ম্যানেজার আশরাফ আলী বেপারীকে নিশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা মামলায় সব আসামীকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত।

রোববার বিকেলে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-০১ এর বিচারক লায়লাতুল ফেরদৌস এ রায় দেন। এর আগে রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে পুরো আদালতজুড়ে নেয়া হয় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, পূর্ব শত্রুতার জেরে গত ২০০৫ সালের ১২ মার্চ সকালে মাদারীপুর সদর উপজেলার ঘটমাঝি ইউনিয়নের আমড়াতলা গ্রামের হামিদ বেপারীর ছেলে আশরাফকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এই ঘটনায় পরদিন নিহতের বড়ভাই সিদ্দিকুর রহমান বেপারী বাদী হয়ে ৪৪ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো ২০-২২ জনকে আসামী করে সদর মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। এরপর ২০০৬ সালের ২৭ ডিসেম্বর তৎকালীন সরকারি পুলিশ সুপার মো. শাহ নেওয়াজ খালেদ ৪৬ জনের নামে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এ সময় এজাহারনামীয় ৪ আসামী ঘটনার সাথে জড়িত নয় বলেও উল্লেখ করেন। পরে বিভিন্ন সময় আদালত মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা, মেডিকেল অফিসারসহ ১৬ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন। দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে দোষ প্রমাণ না হওয়ায় আদালত এজাহারনামীয় সকল আসামীকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেন।
এ সময় ৯৫ পৃষ্টার রায়ে আদালত বলেন, পূর্বের শত্রুতা ও পুরনো ৪টি মামলা থেকে মুক্তি পেতে এই হত্যা মামলায় আসামীদের জড়ানো হয়েছে। যা সমাজের জন্য খুবই ক্ষতিকারক। রাষ্ট্রপক্ষ এই হত্যা মামলায় পর্যাপ্ত সাক্ষ্যপ্রমান হাজির করতে পারিনি। এছাড়া বাদীপক্ষের সাক্ষ্যির কেউই ঘটনার সত্যতা প্রমান করতে পারিনি। এমনকি নিহতের স্ত্রীও তার সাক্ষ্যিতে তিন রকম কথা বলেছে। আদালত সবকিছু বিবেচনা করে দেখেছে এই হত্যাকান্ড এজাহারনামীয় আসামীদের মাধ্যমে সংগঠিত হয়নি। এই ঘটনায় অন্যরা দায়ী, যা প্রমানে ব্যর্থ হয়েছে রাষ্ট্রপক্ষ। তাই সব আসামীই খালাস পেয়েছে।

আসামীপক্ষের আইনজীবি অ্যাডভোকেট মো. জাফর আলী মিয়া জানান, এই রায়ের মাধ্যমে আসামীপক্ষ ন্যায় বিচার পেয়েছে। আশরাফকে হত্যা করা হলেও মামলার এজাহারনামীয় আসামীরা জড়িত ছিলেন না। পূর্ব শত্রুতার বশেই এই মামলায় আসামীদের নাম দেয়া হয়েছিল। দীর্ঘদিন আসামীরা এই মামলায় হয়রানী, অর্থনৈতিক ক্ষতি সাধিত হয়েছে। তবে, রায়ের মাধ্যমে আসামীপক্ষ সন্তুষ্ট।

মাদারীপুরের অতিরিক্ত পিপি (রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবি) অ্যাডভোকেট গোলাম আজম শামীম গৌড়া বলেন, এই রায়ের বিরুদ্ধে বাদীপক্ষ আপিল করবে। বাদীপক্ষ মামলায় যথেষ্ট সাক্ষ্য ও প্রমান আদালতে উপস্থাপন করেছে। তাই রায় নিয়ে বাদীপক্ষ ক্ষুব্ধ।

মাদারীপুরের পুলিশ সুপার মো. মাসুদ আলম বলনে, হত্যাকান্ডের রায়কে ঘিরে পুরো আদালতজুড়ে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়। রায়ের আগে আদালতপাড়া থেকে অপিরিচিত লোকজন ও আদালতের কাজে সংশ্লিষ্ট নয়, এমন সবাইকে সরিয়ে দেয়া হয়। কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে আসামীদের আদালতে হাজির করা ও রায় শেষে কারাগারে পাঠানো হয়।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© All rights reserved © 2022
Don`t copy text!