মাদারীপুর প্রতিনিধি
মাদারীপুরে দুদক কর্মকর্তা সেজে প্রতারণার অভিযোগে ২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গত মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) বিকেলে রাজৈর উপজেলার লুনদী এলাকা তাদের গ্রেপ্তার করে মাদারীপুর জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা। বুধবার (২৬ এপ্রিল) বিকেলে মাদারীপুর পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান মাদারীপুর জেলা পুলিশ সুপার মাসুদ আলম।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, উপজেলার লুনদী এলাকার মৃত হক মিয়ার ছেলে আনিসুর রহমান ওরফে বাবুল ও সৈয়দ ইদ্রিস আলী মীরের ছেলে সৈয়দ আমান মীর।
ব্রিফিংয়ে মাসুদ আলম বলেন, সৈয়দ আমান মীর ও আনিসুর রহমান দুর্ধর্ষ প্রতারক। তারা দুদক কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে বিভিন্ন সময় মানুষকে প্রতারিত করেছে। তাদের মূল টার্গেট ছিল সমাজের বিশিষ্ট মানুষ, ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তা ও প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। এদের মধ্যে চক্রের সদস্য সৈয়দ আমান মীর প্রতারণার মাধ্যমে একজন ব্যক্তির কাছ থেকে ১০ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন সময় আরো লোকের কাছ থেকে অর্থ নিয়েছেন।আমাদের কাছে অভিযোগ আসার পরে তাদের বিরুদ্ধে আমাদের গোয়েন্দা পুলিশের বিশেষ শাখা অভিযানে নামে। পরবর্তীতে প্রযুক্তির সহায়তায় তাদের ধরতে সক্ষম হই।
মাসুদ আলম আরো বলেন, অবাক করা বিষয় হচ্ছে এ চক্রের আরেক সদস্য আনিসুর রহমান ওরফে বাবুল যাকে আমরা গত দেড় মাস আগেও গ্রেফতার করেছিলাম। যার বিরুদ্ধে এখনো ৭ টি মামলা চলমান রয়েছে। তিনি সম্প্রতি জামিনে বের হয়ে একই প্রতারণার কাজে লিপ্ত হয়েছেন। তিনি এই চক্রের মূল হোতা সৈয়দ আমান মীরকে এই কাজে সহযোগীতা করে আদায় করা অর্থের ভাগ নিয়েছেন। যা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা একথা স্বীকার করেছেন। এছাড়াও তাদের কাছ থেকে প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত তিনটি মোবাইল ফোন, বিভিন্ন মোবাইল অপারেটরের ২২টি সিম কার্ড, প্রতারণার মাধ্যমে আদায়কৃত নগদ ৯১ হাজার ৩শ টাকা ও বিসিএস ১৯৮৫ ব্যাচের কর্মকর্তাদের মোবাইল নম্বর ও একটি পরিচিতি সম্বলিত স্মরনিকা উদ্ধার করা হয়েছে। আমাদের পক্ষ থেকে সমাজের সকলের কাছে একটাই অনুরোধ এ ধরনের প্রতারকদের খপ্পরে না পড়ার জন্য।
এ বিষয়ে মাদারীপুর জেলা গোয়েন্দা শাখার তদন্তকারী কর্মকর্তা রায়হান সিদ্দিকী শামীম বলেন, আমরা অভিযান পরিচালনা করে চক্রের মূল হোতা সৈয়দ আমান মীর ও আনিসুর রহমান ওরফে বাবুলকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হই। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তাদের সাথে এই চক্রের আরো সদস্য থাকার কথা স্বীকার করেছে। তাদের ধরতে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
Leave a Reply