মাদারীপুর প্রতিনিধি:
মাদারীপুরের ডাসারে আওয়ামী লীগের দলীয় অনুষ্ঠানে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শারমীন ইয়াছমীন প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নেয়।
রবিবার রাতে এ সংক্রান্ত একটি ছবি ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।এতে উপজেলা জুড়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রোববার বিকেলে ডাসার উপজেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় শহীদদের স্মরণে একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ডাসার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শারমীন ইয়াছমীন। তবে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে ডাসার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা( ওসি) হাসানুজ্জামানের উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত তিনি উপস্থিত থাকেন নি। প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের রাজনৈতিক দলীয় অনুষ্ঠানে অতিথি করায় ক্ষুব্ধ সচেতন মহল।
এই বিষয়ে ডাসার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শারমীন ইয়াছমীন বলেন,’আমি প্রধান অতিথি ছিলাম এবং ডাসার থানার ওসি বিশেষ অতিথি ছিলেন। সাধারণত দলীয় কোনো কর্মসূচিতে আমরা যাই না। যেহেতু ডাসার একটি নবগঠিত উপজেলা ও প্রধানমন্ত্রীর দুঃখের একটি ঘটনা তাই এই দুটো ইস্যুর কারনেই আমি অনুষ্ঠানে গিয়েছি।’
এটা চাকরিবিধি লংঘন কিনা, এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, এটা চাকরিবিধি লংঘন কেন হবে? একটা জায়গা গেলেই কি চাকরিবিধি লংঘন হয়ে যায়?
এ ব্যাপারে মাদারীপুর আইন সহায়তা কেন্দ্র লিগাল এইড অ্যাসোসিয়েশন সমন্বয়কারী এডভোকেট ইব্রাহিম মিয়া বলেন,’সরকারি কর্মচারী আচরন বিধিমালা ১৯৭৯ এর ২৫ উপবিধি (সংশোধিত) ২০০২ সালের সংশোধিত বিধি মোতাবেক সরকারি কর্মকর্তা বা কর্মচারীরা রাজনৈতিক দলের সদস্য হতে পারবে না এবং রাজনৈতিক কর্মকান্ডে অংশগ্রহণ করা থেকে তাদের বিরত থাকতে বলা হয়েছে।’
এ ব্যাপারে অনুষ্ঠানের আয়োজকদের একজন ডাসার উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহবায়ক কাজী মাহামুদুল হাসাল দোদুল বলেন,’আমাদের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শারমীন ইয়াছমীন এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে ওসির উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত তিনি উপস্থিত থাকেন নি।’
ডাসার উপজেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক সৈয়দ সাখাওয়াত হোসেনের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহবায়ক মতিন হাওলাদার, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাসেম হাওলাদারসহ আওয়ামী লীগের সহযোগী অংঙ্গসংগঠনের অন্যান্য নেতৃবৃন্দরা।