শিবচর প্রতিনিধিঃ
মাদারীপুরের শিবচরে ১৪ বছর বয়সী নবম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
শনিবার সকাল ১০ টার দিকে উপজেলার সন্যাসীরচর ইউনিয়নের মাদবর কান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।শনিবার রাত সোয়া ৮ টার দিকে শিবচর থানায় উপস্থিত হয়ে ২ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন ওই শিক্ষার্থীর ভাই।আগামীকাল সকালে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য মাদারীপুর সদর হাসপাতালে পাঠানোর কথা জানিয়েছে পুলিশ।শিবচর থানার উপপরিদর্শক (সেকেন্ড অফিসার) মোঃ রবিউল ইসলাম রাত সাড়ে আটটার দিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
আসামীরা হলেন উপজেলার বন্দরখোলা ইউনিয়নের রাজারচর মোল্লা কান্দি গ্রামের কায়ুম শেখের ছেলে নাহিদ শেখ (২৮) একই গ্রামের তারা মিয়া হাওলাদারের ছেলে আরিফ হাওলাদার (২৮)
মামলার বিবরন ও পারিবারিক সুত্রে জানা যায়,আজ সকালে ওই শিক্ষার্থী নিজ বাড়ি হইতে পাঁয়ে হেটে মালের হাট বাজারে যাওয়ার পথিমধ্যে সকাল সাড়ে নয়টার দিকে শিবচর থানাধীন সন্যাসীরচর ইউনিয়নের বিনা কোম্পানী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে তার পূর্ব পরিচিত আশিক মাদবর(২০) এর সহিত দেখা হইলে তাহারা রাস্তার উপর দাড়াইয়া কথপোকথন শুরু করে।এসময় বন্দরখোলা ইউনিয়নের রাজারচর মোল্লা কান্দি গ্রামের কায়ুম শেখের ছেলে নাহিদ শেখ একই গ্রামের তারা মিয়া হাওলাদারের ছেলে আরিফ হাওলাদার একটি নীল রংয়ের মোটরসাইকেল নিয়া বর্ণিত স্হানে আসিয়া বিভিন্ন ভয়-ভীতি ও হুমকি-ধমকি দিয়া জোর পূর্বক ভাবে ওই শিক্ষার্থীকে তাদের সাথে থাকা মোটরসাইকেলে উঠাইয়া অপহরন করিয়া সন্যাসীরচর ইউনিয়নের মাদবর কান্দি এলাকার হারুন শেখের কলা বাগানে নিয়া যায়। পরে নাহিদ শেখ তার সাথে থাকা আরিফ হাওলাদারকে দূরে সরিয়ে দিয়ে ওই শিক্ষার্থীকে মুখ চাপিয়া ধরিয়া তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর পূর্বক ধর্ষন করে।পরে ওই শিক্ষার্থী ধস্তা ধস্তির একপর্যায়ে চিৎকার দিলে আশপাশ হইতে লোকজন আগাইয়া আসে।ততক্ষণে আসামী নাহিদ শেখ কলা বাগানের মধ্যে হইতে বাহির হইয়া দৌড়াইয়া পালাইয়া যায়।
পরে শিবচর থানার উপপরিদর্শক বরুন হীরার নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল সেখানে উপস্থিত হয়ে ওই শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে শিবচর থানায় নিয়ে আসে।
মামলার বাদী বলেন,”ওরা আমার বোনের ইজ্জত নিয়েছে। আমি আইনের মাধ্যমে ওদের বিচার চাই”
শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোঃ মিরাজ হোসেন বলেন,” সকালে খবর পেয়ে পুলিশ এলাকা পরিদর্শন করে।রাতে মেয়েটির ভাই বাদী হয়ে মামলা করেন।আসামিদের গ্রেপ্তার করতে অভিযান চালানো হচ্ছে বলেও জানান ওসি।